Home আপডেট রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল নবান্ন, ৮টি পয়েন্টে তৈরি হল সংঘাতের আবহ

রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল নবান্ন, ৮টি পয়েন্টে তৈরি হল সংঘাতের আবহ

রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল নবান্ন, ৮টি পয়েন্টে তৈরি হল সংঘাতের আবহ

[ad_1]

আবার নতুন করে নবান্ন–রাজভবন সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। এবার রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল নবান্ন। এই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই গিয়েছে বলে মনে করছে রাজভবন। তবে এই চিঠি পেয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে ৮টি পয়েন্ট লেখা রয়েছে। যা পড়ে বেজায় চটেছেন রাজভবনের বাসিন্দা। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এই রাজ্যপাল টেলিফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তারপর এই চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একে অপরকে একাধিকবার আক্রমণ করেছেন। তার উপর আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন হবে। সেখানে রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই শুরু হবে অধিবেশন। তার মধ্যেই নবান্ন থেকে এমন কড়া চিঠি পেয়ে রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে কি বলেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল। এবার কড়া চিঠি হাতে পেলেন। সুতরাং সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অকারণে উচ্চশিক্ষা দফতর সম্পর্কে বিরক্তিকর শব্দ লেখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসন এবং ম্যানেজমেন্টে একাধিক কর্তব্য রয়েছে। সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে, উপাচার্যকে নিয়োগ করার জন্য রাজ্য সরকার আছে। আবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল সেটাও এই চিঠিতে প্রথম চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়। সুতরাং রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দফতরকে বিরক্ত করতে নিষেধ করা হয়েছে। এটাই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে কড়া ভাষা লেগেছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌তাহলে রাম বোধহয় বিপিএল’‌, তৃণমূল সাংসদ শতাব্দীর খোঁচায় পাল্টা আক্রমণ বিজেপির

এছাড়া ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সেই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক সহায়তা রাজ্যের থেকেই পায়। উচ্চশিক্ষা দফতরের ক্ষমতা রয়েছে যে কোনও নির্দেশ দেওয়ার। আচার্যের দফতরের কোনও ক্ষমতা নেই নতুন করে আইন বা স্ট্যাটুট গঠনের। আচার্য পদ শুধুমাত্র সাংবিধানিক পদ। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেই চিঠির প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল তার ক্ষমতা মনে করিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জানিয়ে দিক। চিঠির দ্বিতীয় ভাগে আরও এই চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়েই এই চিঠি লেখা হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বলে জানা যাচ্ছে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here