Home আপডেট রাজ্যপাল–শুভেন্দু অধিকারী বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে যাচ্ছেন, রাতেই মমতা মানুষের পাশে

রাজ্যপাল–শুভেন্দু অধিকারী বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে যাচ্ছেন, রাতেই মমতা মানুষের পাশে

রাজ্যপাল–শুভেন্দু অধিকারী বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে যাচ্ছেন, রাতেই মমতা মানুষের পাশে

[ad_1]

জলপাইগুড়ির ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবেন তিনি। আহতদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর–সহ একাধিক এজেন্সির সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি কোচবিহারে অশান্তি সৃষ্টি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। রবিবার কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ির বিশাল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সংকটজনক। রাতেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত আড়াইটে নাগাদ পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন তিনি। আহত ও মৃতদের বাড়িতেও যান মুখ্যমন্ত্রী।

রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর এমন উদ্যোগ দেখে থেমে থাকতে পারেননি রাজ্যপাল। তিনি ভোরেই এখানে এসে পৌঁছন। এমনকী এখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এখানে ছুটে আসছেন। আসলে উত্তরবঙ্গের ভোট ফ্যাক্টর। সেটা যেন সবটা তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে না যায় তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এই ঘটনা নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। যাঁরা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, ‘জলপাইগুড়িতে ঝড়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অনেকে আহত। আমি উদ্বিগ্ন। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সকলে একসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ করছেন। আমি ওখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। মানুষের সঙ্গে কথা বলব। যা যা করা সম্ভব, করব।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌শাহজাহান ক্লোজড চ্যাপ্টার’‌, সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে সভা থেকে বললেন তৃণমূল প্রার্থী

এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বিমানবন্দরে ঢোকার আগে তিনি বলেন, ‘‌গতকাল থেকে আমাদের বিধায়ক–কর্মীরা নির্বাচনবিধি মেনে কাজ করছে। তিনটে গ্রামের ৮০০ বাড়ি ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকারের উচিত পাশে দাঁড়ানো। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেরও এগিয়ে এসে কাজ করা উচিত।’‌ এই কথা যখন বলছেন তখন এলাকার মানুষ আলোচনা করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলতে হচ্ছে, বিজেপির নেতা–কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থলে মানুষের পাশে যেন দাঁড়ান। যেন ত্রান দেন। তারপর বিজেপি নেতা–কর্মীরা মাঠে নামলেন। এখন পরিস্থিতি যখন অনেকটা আয়ত্তে তখন বিরোধী দলনেতা আসছেন। কী লাভ এসে?‌ প্রশ্ন স্থানীয় মানুষজনের।

অন্যদিকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাতেই আর্তদের সাহায্যে রাজভবনে ইমারজেন্সি সেল খোলার ব্যবস্থা করেন তিনি। রাজভবনে প্রস্তুত করা হয় পিস রুম। তাছাড়া খোলা হয়েছে জরুরি সেল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাজভবন। তবে ঝড়ের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ি সদর ব্লক, ময়নাগুড়ি ব্লকের বিশাল এলাকাজুড়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনার পর প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে জানান, নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি মেনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে রাজ্য সরকার।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here