ওয়েব ডেস্কঃ আধুনিকের প্রচারসর্বস্ব পৃথিবীতে সবটাই দেখানো, না হলেই প্রশ্ন আসবে মানুষ জানবে কি করে? সত্যিই তো প্রচারের আড়ালে থেকে গেলে যে, সবটুকু গোপন থেকে যায়। কিন্তু এমন কেউ তো আছেনই যিনি প্রচারের বাইরে থেকেও প্রচারের মুখে। আসলে মানুষকে চিনতে গেলে হয়ত তার কর্মটাই সব, সেখানে মুখ, পরিচিতি এমনিতেই ধরা দেয়। এক প্রবাদ বলে, কান টানলে মাথা আসে, সত্যিই তাই, কর্মই যে মানুষ চেনায়।
এমনই এক মানুষ বর্ধমান বিবেকানন্দ কলেজ মোড় নিবাসী শ্রী নিতাই প্রামাণিক। তিনি পেশায় ডাক্তার। যেখানে মানুষের মনে ডাক্তারের সম্পর্কে ভয়, টাকার অভাবে রোগীর মৃত্যু, অসহায় মানুষগুলোর হসপিটালে কুকুর, বিড়ালের সাথে ওঠা বসা করিয়ে ছাড়ে, সেখানে তিনি বিনা পয়সার ডাক্তার। এককথায় গরীবের ভগবান, মানুষের আশাহত জীবনের আলো। তিনি কিন্তু প্রচারের অন্তরালে, তবু মানুষ চেনেন এই” স্কুল ওফ ট্রপিকাল ইন মেডিসিন” -এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরকে, ভগবানের পৃথিবীতে আর এক ভগবানকে।
সকাল আটটা থেকে ডাক্তারবাবুর কাজ শুরু করেন, নাকে মুখে গুঁজে ষ্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে করে গন্তব্যে যাত্রা। ফিরতি পথে সেই রাত নয়টা। ততক্ষণে বাড়ির সামনে থিক থিকে মানুষগুলোর ভিড়। অধৈর্য হয়ে পড়েন রোগীর বাড়ির লোক কিন্তু বিবেকান্দ কলেজ মোড় নিবাসী ডাক্তার বাবু নিতাই প্রামাণিক একনিষ্ঠ তাঁর কাজে। তিনি রোজ গুনে গুনে ২৯ জনকে দেখেন। তাঁর কথায় প্রচার দিয়ে কিছুই হয় না।তিনি আরো বলেছেন তিনি ডাক্তার তাই রোগী তো আসবেই, প্রয়োজনে ঔষধও দিয়ে দেন। রোগী দেখতে দেখতে রাত অনেক হয়, তবু কর্মই ধর্ম। তাই প্রচার নেই, বরং কর্মের পিছুটান আছে। বার বার তাঁর একনিষ্ঠ সেবা মনে করিয়ে দেয় ” যত্র জীব তত্র শিব “।