Home আপডেট রাত পোহালেই পাড়ি দেওয়া যাবে উত্তর সিকিমে, ভ্রমণের জন্য জারি নির্দেশিকা

রাত পোহালেই পাড়ি দেওয়া যাবে উত্তর সিকিমে, ভ্রমণের জন্য জারি নির্দেশিকা

রাত পোহালেই পাড়ি দেওয়া যাবে উত্তর সিকিমে, ভ্রমণের জন্য জারি নির্দেশিকা

[ad_1]

আবার খুলে যাচ্ছে উত্তর সিকিমের দ্বার। যে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল গোটা সিকিমকে সেই পাহাড়সুন্দরী পর্যটনক্ষেত্র আবার নিজের মতো করে সেজে উঠল। আর তাই এখানে আসার জন্য পর্যটকদের আহ্বান করল সিকিম সরকার। সিকিম পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে বুধবার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য লাচুং, ইয়ামথাং খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনই খোলা যাচ্ছে না লাচেন এবং গুরুদংমার। পরবর্তী ক্ষেত্রে আবার এখানে মেরামত করে সাজিয়ে তুলে তা খুলে দেওয়া হবে। সুতরাং শীতের মরশুমে পর্যটকরা যেতেই পারেন পাহাড় ঘেরা লাচুংয়ে।

এদিকে সুখবর থাকলেও একইসঙ্গে নির্দেশিকায় থাকছে নিষেধাজ্ঞাও। তাই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উত্তর সিকিমে পৌঁছতে গেলে পর্যটকদের সংকলন–টং–চুংথাং পথ ধরেই যেতে হবে। অন্য কোনও পথ নয়। এখানে দিনের বেলায় গাড়ি চলাচল করলেও বন্ধ হয়ে যাবে বিকেল ৪টের পর। তখন আর ওই পথে যেতে দেওয়া হবে না। বিপদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, হড়পা বানে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল সিকিম। এখনও সবটা সেরে উঠতে পারেনি। তাই বিধিনিষেধের মধ্য দিয়েই পর্যটকদের আনন্দ দিতে চাওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে সিকিম যেতে চান বহু পর্যটক। ট্রাভেল এজেন্সিগুলির কাছে ইতিমধ্যেই অনেকে খোঁজ নিয়েছেন। এবার তাঁরা সেই খোঁজ দিতে পারবেন। সিকিম সরকারের এই নির্দেশিকার পর তাঁদের মুখেও হাসি ফুটবে। কারণ পর্যটক এলে রোজগার হবে। আর তাই সারাদিন কঠিন পরিশ্রম করে উত্তর সিকিমের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগ গড়ে তুলছেন সেনাবাহিনী। উত্তর সিকিমের কাজ প্রায় শেষ। কিছু জায়গার কাজ বাকি আছে বলে সেসব চলছে। নানা এলাকার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করতে লোহার সেতু তৈরি করা হয়েছে। বহু রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। তাই উত্তর সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কড়াকড়ি থাকছে সাময়িকভাবে।

আরও পড়ুন:‌ উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের ১ লাখ টাকা, উদ্ধারকারীদের ৫০ হাজার টাকার চেক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি

একাধিক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, পর্যটকেরা ফোন করে খবর নিচ্ছেন। উত্তর সিকিম বেড়ানোর জন্য পর্যটকদের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে, হাতে সময় নিয়ে সিকিম ভ্রমণ করতে আসুন। এখন তুষারপাতের মরসুম আসতে চলেছে। তাই পর্যটকদের একদিন গ্যাংটকের পাশ থেকে পরেরদিন উত্তর সিকিম নিয়ে যাওয়া হবে। এখন বেশ কয়েকটি রাস্তা তৈরি হয়নি। কিছুদিন আগে লোনাক হ্রদের উপর মেঘভাঙা বৃষ্টি উত্তর সিকিম জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল। ভেঙে পড়েছিল সিকিমের চুংথাম বাঁধ। তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল। পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি–সহ বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ হয়ে পড়ে। এমনকী সিকিম যাওয়ার নিরাপদ পথ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বাধ্য হয়ে উত্তর সিকিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের জন্য।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here