[ad_1]
রাজ্যে ফের প্রকাশ্যে এল এক সমবায় দুর্নীতির অভিযোগ। আর ধারা বজায় রেখে এবারও মূল অভিযুক্ত এক তৃণমূল নেতা। রায়দিঘির খাঁড়ি ইউনিয়ন লার্জসাইজ প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের ১.১ কোটি টাকা তছরূপ হয়েছে বলে দাবি গ্রাহকদের। তছরূপের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার। গ্রাহকদের অভিযোগ জমা পড়ার পর সমবায় দফতর জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
৬৬ বছরের পুরনো এই সমবায়ের প্রাক্তন সম্পাদক শিবু গোস্বামীর অভিযোগ, ২০২২ – ২৩ অর্থবর্ষের অডিটে ব্যাঙ্কের কাশীনগর শাখার প্রাক্তন ইনচার্জ মোহনলাল হালদার ১ কোটি ১১ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা তছরূপ করেছেন। মোহনলাল আবার তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার থেকে বেপাত্তা মোহনলাল। ২ মাস ধরে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের আরও কয়েকজন কর্মী এই দুর্নীতিতে যুক্ত। ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা পাচার করা হয়েছে বলে দাবি গ্রাহকদের।
গ্রাহকরা জানাচ্ছেন, ২ বছর ধরে ব্যাঙ্কে কোনও নির্বাচন হয়নি। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডলই যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। তবে তিনি দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার মোহনচন্দ্র কয়াল অবশ্য দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন, ‘তিনি বলেন মোহনলালই টাকা সরিয়েছে। তার তদন্তও শুরু হয়েছে।’
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, ‘অডিটে দুর্নীতি ধরা পড়লে দোষীরা শাস্তি পাবে। সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করার অধিকার কারও নেই।’
ওদিকে বাম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘তৃণমূল সংগঠিতভাবে সমবায়গুলিকে শেষ করছে। এখানেও অভিযুক্ত একজন তৃণমূল নেতা। মানুষের টাকা সরিয়ে সে পালিয়েছে। আর সমবায় দফতর তদন্তের নামে নাটক করছে। তারা এখনও FIR দায়ের করেনি। সমস্ত সমবায় দুর্নীতির CBI তদন্ত চাই। নইলে দোষীরা কোনও দিন শাস্তি পাবে না। সাধারণ মানুষও টাকা ফেরত পাবে না।’