Home আপডেট রেশন দুর্নীতির তদন্তে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বাড়িতে ED

রেশন দুর্নীতির তদন্তে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বাড়িতে ED

রেশন দুর্নীতির তদন্তে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বাড়িতে ED

[ad_1]

রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর বাড়িসহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালাল ইডি। শুক্রবার সকালে প্রথমে শংকরের শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন ইডির গোয়েন্দারা। সেখান থেকে যান শিমুলপুরে শংকরের বাড়িতে। এর পর তাঁর ভাইয়ের বাড়িতেও যান তাঁরা। তবে শংকরের দেখা তাঁরা পেয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।

বনগাঁর রাজনীতিতে শংকর আঢ্যর উত্থান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে। ২০০৫ সালে কাউন্সিলর হন তিনি। এর পর হন চেয়ারম্যান। এর পর দলের নির্দেশে অপসারণ করা হয় তাঁকে। তবে সেই আস্থা ভোট নিয়ে নাটক দেখেছিল গোটা রাজ্য। শুধু শংকর নয়, শংকরের স্ত্রীও কাউন্সিলর ছিলেন। তবে গত পুরভোটে টিকিট পাননি তিনি। তাই কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়েন মেয়ে।

ইডি সূত্রে খবর, রেশনের চাল – গম বাংলাদেশে পাচারে ভূমিকা রয়েছে শংকরের। এই কারবার করে মোটা টাকা কামিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সকালে প্রথমে শংকর আঢ্যর শ্বশুর বিনয় ঘোষের বাড়িতে যায় ইডি। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক ছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এর পর তাঁরা শিমুলপুরে শংকেরর বাড়িতে যান। সেখানে শংকর ছিলেন কি না তা জানা যায়নি। এছাড়া শংকরের ভাই মলয় আঢ্য ও ২ কর্মচারীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। তল্লাশি চলছে সেই ঠিকানাগুলিতেও। বাড়িগুলি চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। গাইঘাটায় শংকরের ভাইয়ের একটি আইসক্রিম কারখানাতেও হানা দিয়েছে ইডি।

শুধু রাজনীতি নয়, শংকর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। সেই সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন শংকরের একাধিক আত্মীয়।

ওদিকে শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী – পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।

একই সঙ্গে আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা ও সরাসরি সম্প্রচারের যন্ত্রাংশ। একাধিক সাংবাদিকের মাথা ফেটেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here