[ad_1]
রেশন দুর্নীতির তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু এই তদন্ত করতে নেমে তাঁদের বিস্তর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইডি তথ্য পেয়েছে, রেশন দুর্নীতির নানা অভিযোগ একাধিক জেলা থেকে আগে অভিযোগ জমা পড়লেও সেসবের তদন্ত করা হয়নি। রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে কয়েকশো কোটি টাকা বলে দাবি ইডির অফিসারদের। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্য পুলিশকে বিশেষ পরামর্শ দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ইডি সূত্রে খবর, ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের কাছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রেশন দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের কাছে জমা পড়লেও তার তদন্ত হয়নি। এই দুর্নীতির শিকড় কতদূর ছড়িয়েছে সেটা রাজ্য পুলিশকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। কারণ ইডি শুধুমাত্র আর্থিক গড়মিলের বিষয় নিয়েই তদন্ত করতে পারে। তাই বিস্তারিত তদন্ত করতে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমনকী রেশন দুর্নীতির কোনও তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন পড়লে রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করবে ইডি। তবে ইডির হাতে কী তথ্য এসেছে, সেটা এই চিঠিতে খোলসা করে বলা হয়নি।
এদিকে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রী–ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে। এই নিয়ে ইডি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তবে এটাই প্রথম চার্জশিট। সাপ্লিমেন্টারি নথি পেশ করা হয়েছে আদালতে। সরকারি তহবিল থেকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় অন্তত ৪৫০ কোটি টাকা ঘুরপথে গিয়েছে বাকিবুরের হাতে। সেই টাকা আবার ঋণ বাবদ এসেছে মন্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ভুয়ো কৃষক হিসেবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা নিয়েছে বাকিবুর বলে উল্লেখ আছে চার্জশিটে। ধান কেনার নামে ৪৫০.৩১ কোটি টাকা ছাড়া হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনসিয়াল কমোডিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের পক্ষ থেকে। যার মাথায় ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়।
আরও পড়ুন: ডানলপ কারখানার বিরুদ্ধে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার মামলা, কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ দল হাজির
অন্যদিকে রাজ্য পুলিশকে দেওয়া ইডির চিঠি একটা এভিডেন্স হিসাবে থেকে গেল। যদি ইডি মনে করে রাজ্য পুলিশের ডিজি–কে চিঠি দিযে কোনও ফল হয়নি তাহলে তা তারা পেশ করবে আদালতে। ওই চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, ২০২০ সাল থেকে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হতে শুরু করে। তখনই যদি এই সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করা হতো তাহলে এত বড় দুর্নীতি আগেই ঠেকানো যেত। তবে এখনও সময় আছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এখনও আগের ওই মামলাগুলির তদন্ত করলে নানা তথ্য উঠে আসতে পারে।