Home আপডেট রেশন দুর্নীতি ৪৫০ কোটি টাকার, প্রথম চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয়–বাকিবুরের যোগসাজশ

রেশন দুর্নীতি ৪৫০ কোটি টাকার, প্রথম চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয়–বাকিবুরের যোগসাজশ

রেশন দুর্নীতি ৪৫০ কোটি টাকার, প্রথম চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয়–বাকিবুরের যোগসাজশ

[ad_1]

রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে বিপুল আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এই রেশন দুর্নীতি মামলায় আজ, মঙ্গলবার প্রথম চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। ১২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমান ছাড়াও ১০টি কোম্পানির উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি বাকিবুর এবং বাকি পাঁচটি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে নথিভুক্ত বলে খবর। তদন্তকারীদের দাবি, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রশ্রয় ছাড়া এই কাজ করতে পারতেন না বাকিবুর রহমান।

এদিকে রেশন দুর্নীতিতে যে পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, তার পরিমাণ প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা স্পর্শ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে ইডি। খাদ্যবণ্টন ব্যবস্থায় ব্যাপক কারচুপির তথ্য হাতে আসে ইডির। সেই তদন্তে নেমে রেশন বণ্টনে দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগে বাকিবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিবুর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পারে ইডি। বাকিবুরকে জেরা করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত অক্টোবর মাসে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। আর তাঁকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

অন্যদিকে আজ ১৬৮ পাতার চার্জশিট জমা করেছে ইডি। তবে তার সঙ্গে তিন হাজার পাতার সাপ্লিমেন্টারি নথি জমাও দেওয়া হয়েছে আদালতে। চার্জশিটে ইডি উল্লেখ করেছে, কোটি কোটি টাকার রেশন দুর্নীতির কথা। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই সরকারি কোষাগার থেকে ৪৫০ কোটি টাকা যায় বাকিবুরের সাজানো ভুয়ো কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। বাকিবুরের সংস্থার অডিটেরই এই বয়ান দিয়েছেন ইডির কাছে। বাকিবুর নিজের সংস্থার ৫০ জন কর্মীর নামে ভুয়ো কৃষক হিসেবে অ্যাকাউন্ট খোলে। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ধান কেনার নামে ৪৫০.৩১ কোটি টাকার ফান্ড রিলিজ করা হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনসিয়াল কমোডিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের পক্ষ থেকে। চার্জশিটে ইডি উল্লেখ করেছে, এই সংস্থারই মাথায় রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়।

আরও পড়ুন:‌ অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের বাড়িতে আয়কর দফতরের নোটিশ, তিহাড়ে বন্দি কেষ্ট

এছাড়া ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে, এই মামলার তদন্ত যত এগিয়ে যায় ততই স্পষ্ট হতে থাকে, রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয়–বাকিবুরের যোগসাজশ আছে। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, তাদেরকে দেওয়া বয়ানে বাকিবুর স্বীকার করেছেন, তাঁর কোনও কর্মীর থেকে ধান কেনা হয়নি। কেবল খাতায় কলমে তাঁর কর্মীদের কৃষক দেখানো হয়েছিল। সহায়ক মূল্যের টাকা নিতেই ওই ব্যবস্থা করা হয়। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মনিদীপা, কন্যা প্রিয়দর্শিনী তিনটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। আর ১২ মাসের মধ্যে এই সংস্থাগুলি তুলে দেওয়া হয় প্রমাণ লোপাটের জন্য। আজ ইডির আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‌৪০০ কোটি টাকার রেশন বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে তিনটি কোম্পানি জ্যোতিপ্রিয়র বাকি সাতটি বাকিবুরের। ব্যাঙ্কের নথি অনুযায়ী, ৩৬ কোটি টাকা জমা পড়েছে জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here