Home খেলাধুলো শুধুই প্রতিশ্রুতি! পদক জিতেও অচিন্ত্য শিউলিদের অনুশীলন খোলা মাঠে!

শুধুই প্রতিশ্রুতি! পদক জিতেও অচিন্ত্য শিউলিদের অনুশীলন খোলা মাঠে!

শুধুই প্রতিশ্রুতি! পদক জিতেও অচিন্ত্য শিউলিদের অনুশীলন খোলা মাঠে!

[ad_1]

হাওড়া: সফলতা এলে মেলে প্রতিশ্রুতি! কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি শুধু মুখের কথাতে থেকেছে সীমাবদ্ধ। শেষবার অচিন্ত শিউলির সোনা জয়ের পর অনেক আশা জেগেছিল। কিন্তু সেই আশাও যে নিরাশায় পরিণত হয়েছে।

সেই খোলা আকাশের নিচে চলছে অনুশীলন। তা বৃষ্টি এলেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।মাথার উপর খোলা আকাশ রয়ে গেছে। কেটে গেছে বহু বছর। সফলতা এলেই গ্রামে আসেন নেতা মন্ত্রী বিশিষ্ট বহু মানুষ। তার পর ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতির বন্যা। কিন্তু পরে যে আর কেউ খোঁজ পর্যন্ত রাখেনা।

একের পর এক সফলতা, দেশের নাম উজ্জ্বল করে চলেছে অচিন্ত, কোয়েল শ্রাবণী র মত প্রতিভারা। কিন্তু তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অবস্থারপরিবর্তন নেই। খোলা আকাশের নিচে কাদা মাটিতে থেকেই অনুশীলন চলছে। প্রতিশ্রুতি আসে নিয়ম করে। দেড়- দু বছর আগে কত রকমের প্রতিশ্রুতি। প্রতিশ্রুতি পাওয়াটা একপ্রকার বিরক্তির জায়গায় এসে পৌঁছেছে, জানান প্রশিক্ষক অষ্টম দাস।

তিনি জানান, ভেবেছিলাম এবার হয়ত ছেলে- মেয়ে গুলোর কপাল ফিরল। কিছু হলেও আধুনিক সরঞ্জাম হয়তমিলবে। হবে মাথার উপরের সেড। কিন্তু হলকই। এত প্রতিশ্রুতি সব মিথ্যে। অষ্টম বাবু জানান, ১৯৮৩ সাল ওয়েটলিফটিং খেলাধুলা শুরু। তারপরও দীর্ঘ সময় ধরে প্রশিক্ষণ নিজ উদ্যোগে।

খেলার জগতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে লড়াই। সংসারেও একপ্রকার লড়াই চলছে অভাব অনটনের সঙ্গে। দিনে এক বেলা দিনমজুরের কাজ। তারপর দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত খেলাধুলায়।

আরও পড়ুন- টোটো চালকের সততায় টাকাভর্তি সুটকেস ফিরে পেলেন বৃদ্ধ

বাড়ির সঙ্গেই তাঁর স্বপ্নের খেলাঘর। সেখানেই প্রায় ৬০ থেকে ৬২ জন ছেলে মেয়ে ওয়েটলিফটিং এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ভাঙাচোরা খোলা আকাশেতে নিচেই অনুশীলন। তার মধ্যেই মিলছে সাফল্য। বিষয়টা সত্যি ভাবতে অবাক লাগাবে। যে অনুশীলন কেন্দ্র থেকে একের পর এক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য। সেই অনুশীলন কেন্দ্র বেহাল। পৌঁছাচ্ছে না উন্নয়নের আলো, পড়ছে না নজর।

অষ্টম বাবু জানান, জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে খেলোয়াড় উঠছে। এমন প্রতিকূল অবস্থা থেকে অত্যন্ত কঠিন। তবুও লড়াই করে খেলাকে ভালোবেসে সফলতার শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে ওরা। আমরা সর্বদা চেষ্টা করে চলেছি । প্রশিক্ষক হিসেবে এক প্রকার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মনে হয় একটু ভালো মানের সরঞ্জাম এবং উপযুক্ত পরিকাঠামো পেলে সফলতার হার আরও বেশি হত। কিন্তু সেদিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। নিজেদের জেদ এবং চেষ্টা নিয়ে এই কষ্টের মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলা।

এবারও সাফল্য, কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয় করল ধুলাগড়ের কোয়েল বর। একই দিনে শ্রাবণী দাস রূপো জয় করে। আবার দেশের হয়ে জোড়া সাফল্য। দেশের হয়ে মুখ উজ্জ্বল করল দুই বাঙালি কন্যা। শিরোনামে পাঁচলার দেউলপুর! দেউলপুর গ্রাম মানেই মনে পড়ে সোনার ছেলে অচিন্ত শিউলির কথা। ভেসে উঠবে সেই আলো উজ্জ্বল দিনের মত রাতের কথা।

রাকেশ মাইতি

Tags: Howrah

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here