Home আপডেট ‘‌শুভেন্দু ঝাঁপ দিলে কোন পরিচয় সামনে আসত?’‌ সংসদে হামলা নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা কুণালের

‘‌শুভেন্দু ঝাঁপ দিলে কোন পরিচয় সামনে আসত?’‌ সংসদে হামলা নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা কুণালের

‘‌শুভেন্দু ঝাঁপ দিলে কোন পরিচয় সামনে আসত?’‌ সংসদে হামলা নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা কুণালের

[ad_1]

সংসদ হামলা নিয়ে এখনও নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে। কলকাতা যোগ মিলেছে বলে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি এই দায় নিজেদের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। আর সেটা তৃণমূল কংগ্রেসের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। যেখানে বিজেপি সাংসদের ভিজিটর স্লিপ নিয়েই দু’‌জন সংসদে ঢুকে গ্যাস ছড়িয়ে তোলপাড় করেছিল। তবে সংসদের দুই কক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি চেপে ধরেছে বিজেপিকে। তাই ডেরেক ও’‌ ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদ দু’‌দিনের জন্য মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। এই আবহে এবার বিজেপিকে চরম খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

আজ, শুক্রবার সরাসরি বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কুণাল ঘোষ। অভিযোগ ওঠা বিজেপি সাংসদকে কেন বহিষ্কার করা হবে না?‌ এই প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি তাঁর খোঁচা, ‘‌শুভেন্দু ঝাঁপ দিলে কোন পরিচয় সামনে আসত? তৃণমূল কংগ্রেস না বিজেপি? যা ঘটেছে সেটার থেকে নজর ঘোরাতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’‌ শুভেন্দু অধিকারী সংসদ থেকে ঝাঁপ দিতে পারেন এটা কল্পনা করেই এখন সকলে হাসাহাসি করছেন। সংসদের হামলার নেপথ্যে পুলিশের জালে এসেছে মূল অভিযুক্ত ললিত ঝা। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির কর্তব্যপথ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। ধৃতকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এদিকে সংসদ হামলার মূলচক্রীর ডেরার হদিশ মিলেছে কলকাতায়। বড়বাজার আর বাগুইআটি অঞ্চলের হেলাবটতলার পালপাড়াতেও প্রায় তিন বছর ধরে বাবা–মা ভাইয়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন ললিত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১০ ডিসেম্বর, ললিতের বাবা–মা ও ভাই তাদের রাজ্য বিহারে চলে যায়। তবে ললিত কিন্তু পালপাড়ার এই বাড়িতেই থেকে গিয়েছিলেন। এবার ললিতের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায়ের ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদের প্রশ্ন, ‘‌নেতার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য এই প্রমাণ যথেষ্ট নয় কি?’‌ জবাবে কুণাল বলেন, ‘‌সুকান্ত মজুমদার বেহায়া। বিজেপি সাংসদ ঢুকিয়েছে। সুকান্ত বাচ্চা নাকি? কচি ছেলে নাকি?’‌

আরও পড়ুন:‌ হরিপাল স্টেশনে উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে রেল অফিসাররা, আটকালেন বেচারাম মান্না

অন্যদিকে রাজ্য–রাজনীতিতে এই নিয়ে তরজা তুঙ্গে উঠেছে। আর তারপরই কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌এটাই প্রশ্ন, নিরাপত্তা খামতি। বিজেপি নেতা কী করে পাস দিল? ওরা এখন কে কারা, ছোটবেলায় কেমন ছিল, এসব দেখে কি হবে? শুভেন্দু ঝাঁপ দিলে কোন পরিচয় সামনে আসত? তৃণমূল না বিজেপি? যে সংসদ এই পাস দিয়েছে তাঁকে অবিলম্বে বের করতে হবে সংসদ থেকে। অমিত শাহ ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ইস্তফা চাই। ওদের ঢুকিয়েছে কে? পাসওয়ার্ড দিয়েছে বলে মহুয়াকে বের করা হল আর পাস দেওয়ার জন্য বিজেপি নেতাকে কেন বের করা হবে না? চার আনা নেতাদের নিরাপত্তা দিতে পারলে, সংসদের নিরাপত্তা নেই!’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here