[ad_1]
বিধানসভায় বাজেট বিতর্কের শেষে জবাবি ভাষণ দেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জনমোহিনী বাজেটের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং বিজেপিকে আক্রমণ ও সমালোচনা করেন তিনি। বিধানসভায় বিজেপির আচরণের নিন্দা করে শনিবার সরব হন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস–সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী–বিধায়করা। গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক মন্তব্য ও নির্বাচনের স্লোগানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। তার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। বিরোধী দলের নেতারা যদি এমন আচরণ করেন, সেক্ষেত্রে আগামী দিনে বিরোধী দলের আর কোনও বক্তব্য রেকর্ডে নেব না।’
এদিকে বিধানসভায় তরজা থেকে হাতাহাতির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে দলবদল করা নিয়ে কটাক্ষ উড়ে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তখনই তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘বড় চোর’ বলে কটাক্ষ করেন তারকেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়। তখনই পাল্টা তাঁকে ‘আপনার বাপ’ বলে জবাব দেন বিরোধী দলনেতা। ব্যস, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। উত্তেজিত রামেন্দু নেমে আসেন বিধানসভার ওয়েলে। আর শুভেন্দুর দিকে এগিয়ে যান। মারমুখী পরিস্থিতি তৈরি হলে রুখে দেন অরূপ বিশ্বাস। তখন রামেন্দু অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান। এমন অপ্রাসঙ্গিক ও অশালীন মন্তব্য করা একেবারে অপ্রত্যাশিত বলে উল্লেখ করেন অধ্যক্ষ।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ উঠলে পাল্টা শুভেন্দু ইউপিএ এবং এনডিএ আমলের তুলনামূলক বরাদ্দ দেখাতে থাকেন। শুভেন্দুর উদ্দেশে তখন বলা হয়, তিনিও তখন ছিলেন সেই দলেই। সেটা স্বীকার করে নিয়ে দুর্নীতির জন্য দল ছেড়েছেন বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। পাল্টা শুভেন্দুকে বড় চোর শুনতে হয়। বাজেটের সমালোচনার পাশাপাশি ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে সন্দেশখালি ইস্যুকে সামনে রেখে আক্রমণ করেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলের তোলা অভিযোগ নস্যাৎ করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, এই বাজেট নির্বাচনের জন্য নয়। সব স্তরের মানুষকে সম্মান দিয়েই এই বাজেট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলের ছাত্রীরা এবার পুরোহিতের ভূমিকায়, সরস্বতী পুজোয় দেখা দিতেই চলছে প্রশিক্ষণ
শুভেন্দুর সঙ্গে রামেন্দুর তুমুল তরজায় তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা কক্ষ। অর্থ প্রতিমন্ত্রীর জবাবি ভাষণের আগেই স্লোগান দিয়ে কক্ষত্যাগ করে বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য শেষ হতেই ওঠে ভোটের স্লোগান, ‘অবকি বার মোদী সরকার।’ তখন কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বাজেট করেছেন তার বিরোধিতা করার ক্ষমতা ওদের নেই। তাই স্লোগান হাতিয়ার করে কক্ষত্যাগ করছে।’ ক্যাগ রিপোর্টে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট ইস্যু নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের সরকার প্রত্যেকটি ইউসি জমা দিয়েছেন। ওই ক্যাগ রিপোর্টেই কেন্দ্রের ১৫টি মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ইউসি জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাই মন্ত্রকগুলিকে টাকা দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।