Home বিদেশ শেখ হাসিনা ভয় পাচ্ছেন? একরোখা বিএনপি! বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি করে?

শেখ হাসিনা ভয় পাচ্ছেন? একরোখা বিএনপি! বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি করে?

শেখ হাসিনা ভয় পাচ্ছেন? একরোখা বিএনপি! বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি করে?

[ad_1]

বিদেশি চাপকে পাত্তাই দিচ্ছেন না শেখ হাসিনা। ডোন্ট কেয়ার ভাব। দেশজুড়ে ধরপাকড়, সংঘর্ষ, অ্যারেস্ট। কিন্তু সিদ্ধান্তেই আসছেন না শেখ হাসিনা তথা আওয়ামীলীগ। আলোচনায় না বসলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে না তো? শেখ হাসিনা কেন এমনটা করছেন? ভয় পাচ্ছেন নাকি নতুন কোনো মাস্টার প্ল্যান? বিদেশি চাপে কোণঠাসা বাংলাদেশ। হারিয়ে যাচ্ছে বিএনপি! কোন বড় ক্ষতি হতে চলেছে? গ্রাহ্যই করছে না সরকার।

শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন, কোন আলাপ আলোচনা নয়। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ভাবে। বলে তো দিলেন, কিন্তু দেশের অশান্ত পরিস্থিতি সামলাবে কে? বারংবার অবরোধের ডাক, আন্দোলন লেগেই রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিদেশি চাপ অগ্রাহ্য করছেন শেখ হাসিনা। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনের দিকে। আর তো মাত্র কটা মাস। প্রশ্নটা এখানেই। অশান্তির আবহ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে চুপ করে রয়েছে আওয়ামীলীগ? ২৮ শে অক্টোবর ঢাকায় রাজনৈতিক সংঘাতের পর থেকেই বিষয়টা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্বের বহু দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জাতিসংঘ সবাই বাংলাদেশের ইস্যুটা নিয়ে কথা বলেছে। উঠে এসেছে সুষ্ঠুভাবে আলাপ আলোচনার প্রসঙ্গ। কিন্তু রেজাল্ট মেলেনি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আলাপ আলোচনার তাগাদা দেয়া হলেও সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিএনপির দাবি, সরকারের পদত্যাগের পর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে হবে, তবেই তারা সংলাপে বসবে। আবার আওয়ামীলীগের একটাই কথা, শর্তহীন ভাবে সংবিধানের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবেই হবে আলোচনা। এসব বাকবিতন্ডার মাঝেও কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি থেমে নেই। চলতি মাসের মাঝামাঝি ঘোষণা হয়ে যেতে পারে নির্বাচনের তফসিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি চাপকে উপেক্ষা করতেই এত প্ল্যানিং। আন্তর্জাতিক চাপও কম যাচ্ছে না। দুই দলই বসতে চাইছে না সংলাপে। আন্তর্জাতিক মহল বারংবার গুরুত্ব দিচ্ছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উপর। জাতিসংঘ কিন্তু ঢাকায় সহিংসতা, সাংবাদিকদের লাঞ্ছনা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মতো ঘটনায় বিরোধী দল থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীনদের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বাসযোগ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের । দেখুন, বাংলাদেশের অন্যতম দুটো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ আর বিএনপি। সমালোচকদের মতে, শেখ হাসিনা অত্যন্ত সূক্ষ্ম কৌশলে কূটনৈতিক চাপকে সামলাতে সাজাচ্ছেন অন্য ঘুঁটি। নেতৃত্বশূন্য করে দিতে চাইছেন বিএনপিকে। অপরদিকে বিএনপি প্রথম থেকেই বলে এসেছে শেখ হাসিনার অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। তাহলে এই নির্বাচন কিভাবে অংশগ্রহণমূলক হবে? প্রশ্ন সমালোচকদের।

বিদেশী চাপকে পাত্তা না দিলে ভবিষ্যতে সমস্যার মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ। বিশ্বের বহু রাষ্ট্র এই ধরুন রাশিয়া চীন ভারত প্রথম থেকেই বলে এসেছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় কেউ নাক গলাবে না। অপরদিকে নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র সহ বহু পশ্চিমা দেশ। যদিও বাংলাদেশের নীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব। কারোর সাথে শত্রুতা নয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি বিদেশী চাপ আসেও, তা সুষ্ঠুভাবেই সমাধান করার চেষ্টা করবে দেশটা। আপাতত বিষয়গুলোকে সেভাবে আমল দিচ্ছেন না শেখ হাসিনা। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কারোর চোখ রাঙানি পরোয়া করেন না। এমন কোন চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। নির্বাচন হবে সময় মতই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here