Home আপডেট ষষ্ঠীতে দাদার সঙ্গে বেরোত, খেত ফুচকা, শুধু স্মৃতি থেকে গেল JU-র ছাত্রের ভাইয়ের

ষষ্ঠীতে দাদার সঙ্গে বেরোত, খেত ফুচকা, শুধু স্মৃতি থেকে গেল JU-র ছাত্রের ভাইয়ের

ষষ্ঠীতে দাদার সঙ্গে বেরোত, খেত ফুচকা, শুধু স্মৃতি থেকে গেল JU-র ছাত্রের ভাইয়ের

[ad_1]

পুজো এসে গিয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে বাজছে মাইক। রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল। প্রিয়জনদের সঙ্গে প্রতিবারের মতো এবারও প্রতিমা দর্শনে বেরিয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু, এবার আর প্রতিমা দর্শন করতে বেরোবে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্রের ভাই। প্রতিবার ষষ্ঠীর দিনে দুই ভাই একসঙ্গে সাইকেলে চড়ে প্রতিমা দর্শনে বেরিয়ে পড়তেন। তবে এবার ছবিটা অন্যরকম। প্রতিবারের পুজোর চেনা সেই আনন্দের মেজাজ উধাও ছাত্রের পরিবারে। দাদা নেই, তাই তাঁকে ছাড়া এবার ঠাকুর দেখবে না বলেই জানালেন কিশোর। দাদার মৃত্যুর ধাক্কা এখনও সামলাতে পারেননি ভাই।

আরও পড়ুন: যাদবপুরের মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পুজোর নতুন বস্ত্র উপহার দেবাংশুর

গত অগস্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের। তারপরেই শোকের ছায়া নেমে আসে ছাত্রের পরিবারে। ছাত্রের ভাই জানিয়েছেন, তাঁর দাদা ফুচকা খেতে খুবই ভালোবাসতেন। ষষ্ঠীর দিনে সাইকেলে চড়ে একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়তেন। তারই ফাঁকে ফুচকার দোকানে দাঁড়িয়ে দুই ভাই একের পর এক ফুচকা খেতেন। দু’জনের বন্ধু সেরকম ছিল না। তবে দুই ভাই একে অপরের খুবই ভালো বন্ধু ছিলেন। 

কিশোরের কথায়, পুজোর সময় নতুন জামা কাপড় তাঁর দাদাই পছন্দ করে দিতেন। ষষ্ঠীর দিন সকালে বগুলায় পুজো দেখার পর বিকেলে ফুচকা, এগরোল প্রভৃতি খেতেন। আর তারপরে রানাঘাটের মামার বাড়িতে চলে যেতেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে বাবা-মামাও থাকতেন। সেখানে গিয়ে মামাতো দাদা-বোনেদের সঙ্গে প্রতিমা দর্শনে বের হতেন। কিশোরের কথায়, তাঁর দাদা খুবই ভালো মনের মানুষ ছিল। মাঝেমধ্যেই তাঁরা মণ্ডপে হাত ধরে ঘুরে বেড়াতেন। প্রতিমা দর্শনে বেরিয়ে তার দাদাই যেন অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতেন। তবে এখন প্রিয় সেই দাদা না থাকায় আর এবার ঠাকুর দেখতে যাবে না কিশোর। তাঁর কথায়, ‘দাদা নেই, আমি কীভাবে ঠাকুর দেখতে যেতে পারি?’

প্রসঙ্গত, যাদবপুরে ছাত্র- মৃত্যুর ঘটনার পরেই তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য- রাজনীতি। সেই ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে আসে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত নেমে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। যার মধ্যে একজন এখনও জামিনে মুক্ত। তবে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here