সমান সমান
**********************
ত্রিযামের দাবদাহ গভীর নিদ্রাকে
আর ছুঁতেও পারে না ।
সবুজের ঢেউ খেলানো মুক্ত বায়ু
এখন আমার বুকের ভেতরে।
স্বপ্নে পোখরানের শব্দ শুনি,
পাশ ফেল থাকবে কি না
সে হিসেবটাকে পাশে রেখে-
প্রতিযোগীতায় ল্যাং খেয়ে,
মুখ থুবরে পরে আছি।
নাক খত দিতে দিতে,
স্বভাবের দোষে ন্যাকা ন্যাকা কথা।
অভ্যাসের বশে বনস্পতি দোলায় মাথা,
আসমুদ্র হিমাচল করতালিতে ফেটে পরে
প্রতিশ্রুতির বন্যা যেন চাক ভাঙ্গা মধু।
যাচাই করতে চাও সিঁথির সিঁদুর
চোখ রাখো কপালের টিপে।
অশ্বমেধের ঘোড়া আসবেই ফিরে
পৃথিবীটা চক্কর খেয়ে অবশ্য অচিরে,
বহু অশ্বশক্তি তাই আমার বুকের ভিতর।
তোমার গায়ের গন্ধ নাকে এলে
জাতটাই চলে যাবে
আমার বাগানে তাই নানা গন্ধের নানা ফুল।
মানসিক নাকি মানবিক চিকিৎসা –
সব হবে,সারাদিন ঘুরে ঘুরে
চোখ খুলবো সেই মধ্য রাতে,
যখন পৃথিবীর প্রতিটি গন্ধ,রং-
তোমার আমার কাছে সমান সমান ।।
শৈলেন রায়~ ১৫/০৭/২০১৭