Home বিদেশ সমুদ্রে তোলপাড় চীনের, রিস্ক জোনে যুক্তরাষ্ট্র। রক্তচাপ বাড়াচ্ছে জিন ক্লাস সাবমেরিন, অ্যাটাকের প্ল্যানে রাশিয়াও?

সমুদ্রে তোলপাড় চীনের, রিস্ক জোনে যুক্তরাষ্ট্র। রক্তচাপ বাড়াচ্ছে জিন ক্লাস সাবমেরিন, অ্যাটাকের প্ল্যানে রাশিয়াও?

সমুদ্রে তোলপাড় চীনের, রিস্ক জোনে যুক্তরাষ্ট্র। রক্তচাপ বাড়াচ্ছে জিন ক্লাস সাবমেরিন, অ্যাটাকের প্ল্যানে রাশিয়াও?

[ad_1]

জলের তলায় চীনের খেলা। ‘যুক্তরাষ্ট্রের বুকে’ আঘাতের প্ল্যান। কতটা চাপে পড়ে গেল আমেরিকা? পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত সাবমেরিন মোতায়েন করে দিল চীনা ফৌজ। মারাত্মক ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন সামরিক বিশ্লেষকরা। রিস্ক বাড়ছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের নৌবাহিনীকে বুস্ট আপ করতে চাইছে। ২০৩০ এ বড় বিপদের আশঙ্কা। স্নায়ুযুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। আমেরিকার টেনশন বাড়াচ্ছে রাশিয়াও। পালিয়ে বাঁচার উপায় কোথায়?

সমুদ্রপথেও যুক্তরাষ্ট্রের রক্তচাপ বাড়াচ্ছে বেইজিং। চীনের আর্মি নেভিতে অত্যাধুনিক সাবমেরিন প্রথমবারের মতো। চীন তার সমুদ্র উপকূলে পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত সাবমেরিন নামিয়েছে। চীনের ‘জিন’ শ্রেণির ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সমৃদ্ধ সাবমেরিনের বহর হাইনান দ্বীপ থেকে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত টহল দিচ্ছে। এতে বিরাট চাপে যুক্তরাষ্ট্র সহ তার মিত্ররা। চীনা সাবমেরিনগুলো তৃতীয় প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র জেএল-৩ সজ্জিত। আনুমানিক ১০ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে এক্সপার্ট। আর, রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী অত্যাধুনিক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সরাসরি ‘যুক্তরাষ্ট্রের বুকে’ আঘাত হানতে পারবে।

অন্তত পাঁচজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, চারজন সমর বিশেষজ্ঞ সাবমেরিনগুলোকে চীনের সক্ষমতার ‘গুরুত্বপূর্ণ সূচক’ বলে মনে করছেন। সামরিক বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণী, ভীত নাড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের। তাঁরা বলছেন চীনা কৌশলবিদেরা আর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে টহল দেবে না। পরিবর্তে জেএল-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে দক্ষিণ চীন সাগরে সাবমেরিনগুলো প্রস্তুত রাখবে। যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নিঃসন্দেহে রিস্ক ফ্যাক্টর। একদিকে চীনের দ্রুত অস্ত্র সক্ষমতা অর্জন নিয়ে টেনশনে যুক্তরাষ্ট্র। যা কিনা স্নায়ুযুদ্ধের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়ার নৌবাহিনীকে ঠেকাতেও যুক্তরাষ্ট্র সজাগ। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও কম যায়না। মাথায় রাখতে হবে, জলের নীচের যুদ্ধে শুধু অস্ত্রের দিক থেকে শক্তিশালী হলেই হয় না, কোন সাবমেরিন কত কৌশলে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে নিজেকে লুকাতে পারে সেটাই সবথেকে বেশি important।

এর উপরে নির্ভর করে আন্ডারওয়াটার নিউক্লিয়ার ওয়ার এর জয় পরাজয়। নিজেকে শত্রুপক্ষের সাবমেরিন থেকে বিপদ মুক্ত রাখার ক্ষমতা আর শত্রুর প্রতিরক্ষা ভেদ করে তার এলাকায় মিসাইল ছোঁড়ার সক্ষমতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার সাবমেরিন গুলোর শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণ করে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে জলে, স্থলে, আকাশে পারমাণবিক শক্তি প্রদর্শনে সাবমেরিন গুলোই যুক্তরাষ্ট্রের সেরা অস্ত্র। এরমাঝেই, আমেরিকা আগের চেয়েও বিশাল আকারে ১৬ টি মিসাইল বহনে সক্ষম কলম্বিয়া ক্লাস সাবমেরিন তৈরি করছে, যাতে ইলেকট্রিক ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে। যা, ভবিষ্যতের সাবমেরিন যুদ্ধে চীনকে পেছনে ফেলতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here