[ad_1]
সাম্প্রতিক সময়ে সম্মেলনেই দলের মুখপত্রে গণশক্তির সম্পাদক বদল হয়েছে। তবে এবার সম্মেলন ছাড়াই সম্পাদক বদলের পথে হাঁটতে চলেছে সিপিআইএম। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী গণশক্তির সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তীকে সরানো হতে পারে। তার জায়গায় প্রাক্তন এক বাম সাংসদকে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
রীতি ভেঙে কেন এই রদবদল? এই প্রশ্নের উত্তরে দুটি জবাব উঠে আসছে। প্রথমত, দলীয় মুখপত্র যে ভাবে পরিচালিত হচ্ছিল তাতে অনেকে খুশি নন। দলের ‘লাইন’ অনুযায়ী খবর পরিবেশিত হচ্ছিল না বলেই অভিযোগ উঠেছে।
তাছাড়া আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বক্ষণের কর্মীদের যে ভাবে দেখা উচিত সেভাবে দেখা হচ্ছিল না। ফলে সর্বক্ষণের কর্মীদের অনেকেই পত্রিকা ফ্রন্ট ছেড়ে পৃথক ফ্রন্টে চলে গিয়েছেন।
সূত্রের খবর, মূলত এই কারণগুলিকেই ‘আশু’ হিসাবে দেখে দেবাশিস চক্রবর্তীর জায়গায় অন্য কাউকে গণশক্তির সম্পাদক করা হতে পারে। পরবর্তী সম্পাদক হিসাবে নাম উঠে আসছে, প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ির।
তিনি বর্তমানে দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর হাতে রাজ্য মুখপত্রের দায়িত্ব গেলে জেলা সম্পাদক হতে পারেন রাহুল ভট্টাচার্য। দলীয় সূত্রে তেমনই খবর।
তবে এই ভাবে সম্মেলন ছাড়াই গণশক্তির সম্পাদক বদল তা কার্ষত সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন। কারণ, অনিল বিশ্বাস যখন রাজ্য সম্পাদক হন সেই সময় সম্মেলনে তাঁর স্থালাভিষিক্ত হন দীপেন ঘোষ। পরবর্তীকালে দীপেনের জায়গায় আসেন নারায়ণ দত্ত। তাঁর পর গণশক্তির সম্পাদক হন অভীক দত্ত। তাঁর অসুস্থতা ও প্রয়াণে পর দেবাশিস চক্রবর্তীকে সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কিন্তু বর্তমান সম্পাদকের পত্রিকা পরিচালনায় খুশি নয় আলিমুদ্দিন। তাই সম্পাদক বদলের রাস্তাতেই হাঁটতে পারে সিপিএম।
পত্রিকাটি দেখাশুনার জন্য একটি টিম কাজ করে। সেই টিমে রয়েছেন, শমীক লাহিড়ি, কল্লোল মজুমদার ও পলাশ দাশ। তাঁদের মধ্যে শমীক লাহিড়ি বা পলাশ দাসের মধ্যে কাউকে সম্পাদক হিসাবে বেছে নেওয়া হতে পারে। তবে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, এগিয়ে রয়েছেন শমীক লাহিড়ি।
রাজ্য কমিটিতে নতুন মুখ
সিপিএম রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন চলছে। সেই অধিবেশনে শেষে কয়েকজন নতুন মুখ নেওয়া হতে পারে রাজ্য কমিটিতে। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ ফৈয়জ আহমেদ খানকে কমিটিতে আনা হতে পারে। এ ছাড়া ডিওয়াইএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভটাচার্যকেও রাজ্য কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য করা হতে পারে। অন্যদিকে রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রাজ্য কমিটিতে নেওয়া হতে পারে।
তবে পলাশ দাস দলীয় মুখপত্রের কাজে যুক্ত থাকার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দল পরিচালনার কাজেও সময় দিতে হয়। কারণ, জেলার সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী অসুস্থ। শোনা যাচ্ছে পলাশকেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।