[ad_1]
সিকিম বিপর্যয়ের নেপথ্যে নেপাল চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন লোনাক হ্রদের ফাটল ধরল? আসল কারণ ফাঁস, সিকিমে নিখোঁজের সংখ্যা রীতিমত আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। নেপাল কি কিছু লুকিয়েছিল ভারতের থেকে? ৫৪ মিনিটে চার বার ভূমিকম্প হয় নেপালে। নেপালের পরিস্থিতিই কি ভারতের সিকিমে ডেকে আনল এমন বিপর্যয়? এই একটা প্রশ্নতেই আটকে যাচ্ছে ভারতের বিজ্ঞানীরা। নেপাল কি চাইলে সাবধান করতে পারত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোকে? নাকি যা ঘটে গেল তা ঘটতে পারে এমন কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। সত্যিই কী মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতেই ফেটে গেল লোনাক হ্রদ?
উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ কাজের পাশাপাশিই বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। আর তাতেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তত্ত্ব। একাংশের বিজ্ঞানীরা বলছেন সিকিমের এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে থাকতে পারে নেপালের ভূমিকম্প। কবে হয়েছিল নেপালে ভূমিকম্প? তাতে সিকিমের ক্ষতি কীভাবে? অনেকেই জানেন সিকিমের ২৯ মাইল এলাকার কাছে বড়সড় ধস নামে ধসের জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (সাবেক ৩১এ জাতীয় সড়ক) এখন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সিকিমে এখন আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। তাদেরকে এয়ারলিফট করে বের করার কাজ চলছে। কারণ যেহেতু সিকিমের জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। এর ফলে ফেরার পথও আপাতত অবরুদ্ধ রয়েছে।
এবার আসি নেপালের কথায়৷ ৩ অক্টোবর নেপালে ভূমিকম্প অনুভূত নয়। একবার নয় একঘন্টায় প্রায় ৪ বার। ভূমিকম্পটির উৎসস্ছিথল ভজহাং। পরপর ভূমিকম্পে নেপালে ক্ষতিগ্রস্ত বহু বাড়ি। ইসরোর স্যাটালাইট চিত্র থেকে তথ্য মিলিয়ে দক্ষিণ লোনাক হ্রদের আয়তন ১০০ হেক্টরেরও বেশি কমেছে। এই গায়েব হয়ে যাওয়া ১০০ হেক্টর জলই তিস্তা নদীর অববাহিকায় আকস্মিক বন্যার সূত্রপাত করে। প্রাথমিকভাবে ভিলেন মনে করা হচ্ছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিকেই। যেমনটা ঘটেছিল ২০১৩ সালে কেদারনাথের বন্যার সময়। তবে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের মতে সম্ভবত এমনটা ঘটেনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে কমিশনের এক আধিকারিক বলেছেন নিশ্চিত করে বলা কঠিন কিন্তু মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে এমন ঘটে না।
ওই আধইকারিক এর আগে দক্ষিণ লোনাক হ্রদ নিয়ে কাজ করেছেন। হ্রদটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন। তিনি সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের মতে হ্রদটির ফেটে যাওয়ার পিছনে নেপালের ভূমিকম্পের হাত থাকতে পারে। নেপালে হওয়া সবথেকে জোরালো ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.২। যা অনুভব করা গিয়েছিল উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকেও। এই ভূমিকম্প সিকিমে আকস্মিক বন্যার কারণ হতে পারে। এমনটা মনে করছেন ওয়াটার কমিশনের বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি আগে থেকেই হ্রদটি দুর্বল অবস্থায় ছিল। যে কোনও সময় ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। ফলে ভূমিকম্পের ফলে হ্রদটি ফেটে যাওয়া অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়