Home আপডেট সুকান্তের নেতৃত্বে ভাঙল পুলিশের ব্যারিকেড, মোটরবাইক মিছিলে ধুন্ধুমার হুগলি

সুকান্তের নেতৃত্বে ভাঙল পুলিশের ব্যারিকেড, মোটরবাইক মিছিলে ধুন্ধুমার হুগলি

সুকান্তের নেতৃত্বে ভাঙল পুলিশের ব্যারিকেড, মোটরবাইক মিছিলে ধুন্ধুমার হুগলি

[ad_1]

আজ, রবিবার হাওড়া ও হুগলিতে বিজেপির মোটরবাইক র‌্যালিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। উৎসবমুখর দিন কাটতেই জেলায় গিয়ে ঝামেলা শুরু করলেন বিজেপি নেতারা। কোনও বাধা মানবেন না এমন হুঙ্কার ছেড়ে এগিয়ে যান তাঁরা। আর তারপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন। তখন পুলিশকেও কড়া হাতে বিষয়টির মোকাবিলা করতে হয়। সেটাকেই বাধা পেয়েছেন র‌্যালি করতে গিয়ে বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর সেটার প্রতিবাদ করতে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান সুকান্ত। এই ঘটনার জেরে আটকে যায় যান চলাচল। পুলিশ বিজেপি নেতা–কর্মীদের রাস্তা থেকে সরাতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়।

এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই গ্রামীণ ভোটব্যাঙ্ক ধরতে হবে। এই কথা মাথায় রেখেই হুগলির ডানকুনি থেকে হাওড়ার ডোমজুড় থানা পর্যন্ত বিজেপির যুব সংকল্প যাত্রা আজ শুরু হয়। রবিবার বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার উদ্যোগে মোটরবাইক র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এখানেই পা রেখেই রণংদেহী মেজাজ দেখাতে শুরু করেন বালুরঘাটের সাংসদ।

অন্যদিকে কিন্তু ওই মোটরবাইক মিছিল এগোতে দেয় না পুলিশ। মেজাজ দেখিয়েও যখন বাধা পান সুকান্ত তখন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন তাঁরা। তারপর আবার এগোতে গেলে ডানকুনির হাউজিং মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে যায় বিজেপির মোটরবাইক মিছিল। তখন উপায় না দেখে প্রতিবাদে বসে পড়েন সুকান্ত। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় এই নিয়ে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ এগোচ্ছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের পোশাক পরিয়ে গুন্ডাবাহিনীকে পাঠিয়ে দিয়েছে। সন্দেশখালিতে পুলিশ ছিল না আর এখানে এত পুলিশ। পুলিশকে একটাই প্রশ্ন, আমাদের রাজ্য সভাপতির হাতে তো লাঠি নেই, বোমাও নেই, ইটও নেই। তা হলে আমাদের আটকে লাভ কি?’ বিজেপির এই মিছিলের জেরে ট্রাফিক সমস্যা দেখা দেয়। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌এটাই আমাদের লড়াইয়ের ডাক’‌, বুদ্ধবাবুর বার্তা ইনসাফের ব্রিগেডে পাঠ করলেন মীনাক্ষী

এই ঘটনায় উলটে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগড়ে দেন। অনেকে বলতে থাকেন, ‘‌বাংলার জন্য কোনও কাজ করে না। উলটে মানুষের সমস্যা বাড়ায়।’‌ যদিও সুকান্ত বলেন, ‘কোনও প্ররোচনা ছাড়া পুলিশ আমাদের কয়েকজনকে আটক করেছে। আমি ধস্তাধস্তি করে তাঁদের ছাড়িয়ে আনি। পুলিশ আমার দুই কর্মীর মাথায় লাঠি মেরেছে। আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি, এঁরা পুলিশ না তৃণমূলের গুন্ডা! তারই প্রতিবাদে আমরা বাধ্য হই জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে। পুলিশ কথা দিয়েছে, আমাদের যে কর্মীকে লাঠি মারা হয়েছে সেটার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। পুলিশের এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে আমরা অবরোধ তুলে নিচ্ছি। প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে থানা ঘেরাও হবে।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here