[ad_1]
লখনউ: লখনউয়ের কোঠি গুলিস্তান-এ-ইরাম। নবাব নাসিরউদ্দিন হায়দার এই কোঠি বানিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের এই শহরে। আজও সেই কোঠিতে কত পর্যটকের আনাগোনা। কিন্তু সকলেই দিনের আলোয় ঘুরে আসেন। সন্ধ্যার পর কেউ আর সেই কোঠির আশপাশে পা মারান না। কেন জানেন? ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানা চলে নাকি কাইজারবাগের সেই ঐতিহ্যবাহী অট্টালিকায়। নাসিরউদ্দিনের ওই বাড়ি এখন ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
লোকে বলে, যাঁরাই নাকি সন্ধায় ওই বাড়ির আশপাশে গিয়েছেন, তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। কিন্তু এই বাড়ির ইতিহাস কী?
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১৫০ কিমি হতে পারে! সাইক্লোন মোকা বাংলাদেশে কী রকম প্রভাব ফেলতে পারে জানুন
শহরের পরিচিত ইতিহাদবিদ ড. রবি ভাট জানান, নাসিরউদ্দিন ব্রিটিশদের প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। তাঁদের তোষামোদ করতে ভালবাসতেন। তাঁদের জীবনযাপন আদবকায়দা আত্মস্থ করতে চাইতেন। আর তাই এই কোঠি বানিয়েছিলেন ব্রিটিশ বিল্ডিংয়ের কায়দাতেই। রবি ভাট জানালেন, ওই বাড়িটিতে পা রাখলেই সে কথা বোঝা যায়। নাসিরউদ্দিন এমনকি ব্রিটিশ মহিলাকেই বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের মতো জামাকাপড় পরাও শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ট্যাক্সিচালক হয়ে হাজির সাউথ-সুপারস্টার! সকাল থেকে তুলকালাম ভিক্টোরিয়া, কড়া নিরাপত্তা
কিন্তু ব্রিটিশরা তাঁর এবং তাঁর সাম্রাজ্যকে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেয়। নবাবের সুযোগ নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করে ব্রিটিশরা। সম্পূর্ণ ভাবে শোষণ করে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেন। নববাের খুব ঘনিষ্ঠ এক কনস্টেবলকে দিয়ে বিষ খাওয়ানো হয় নবাবকে। এই বাড়ির ভিতরেই মৃত্যু হয় নবাবের।
ডক্টর ভাট জানান, নবাবের মৃত্যুর পর বাদশা বেগম একটি ঘরে মুন্না জানের মাথায় মুকুট পরিয়ে দিচ্ছিলেন। পাশের ঘরে নবাবের মৃতদেহ পড়ে ছিল। মহম্মদ আলী শাহ যখন তৃতীয় ঘরে বসে ছিলেন। যাঁকে সেখানে ডেকেছিলেন ব্রিটিশরাই। ব্রিটিশরা সেখানে পৌঁছে মুন্না জান ও বাদশা বেগমকে গ্রেফতার করে। বন্ধ করে দেয় রাজ্যাভিষেক। মহম্মদ আলী শাহের রাজ্যাভিষেক হয় সেদিনই।
Tags: Haunted House, Lucknow