[ad_1]
হামাস কি হার মেনে নিল ইজরায়েলের কাছে? নাকি নতুন চাল হঠাৎ করে যুদ্ধবিরতির বড় সিদ্ধান্ত কেন হামাসের? গাজায় একের পর এক ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হামাসের যুক্তরাষ্ট্র জানত এই সময় আসতে পারে। বন্দিদের নিয়ে বড় শর্ত দিয়েছে হামাস কিন্তু সেই শর্ত ইজরায়েলর আদৌ মানবে কিনা সেটা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে। তিন সপ্তাহ ধরে চলছে হামাস ইসরাইল সংঘাত ইজরায়েলের হামলার মাঝেই এবার যুদ্ধবিরতি চাইছে হামাস। তাহলে কি এটা হামাসের পরাজিত হওয়ার প্রথম ইঙ্গিত? নাকি যুদ্ধবিরতি পেলেই নিজেদের রিচার্জ করার বড় সুযোগ পাবে তারা? উত্তরাঞ্চলের পর গাজার মধ্য এলাকায় ঢুকেও জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। এই অভিযানে বেশ কয়েকজন হামাস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি ইজরায়েলের তবে অভিযান সেরে ফের ইজরায়েলে ফেরত গিয়েছে এই বিশেষ বাহিনী অন্যদিকে জানা যাচ্ছে হামাসকে রুখতে নতুন ধরনের স্পঞ্জ বোমা বানাচ্ছে ইজরায়েল।
এবার হামাস নিল নয়া স্ট্র্যাটেজি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বোধহয় আগেই অনুমান করেছিল এমন কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে এ মুহূর্তে ‘যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধবিরতি চায় না’ বলে জানিয়ে দেন আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মিলার বলেছেন এখন যদি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয় তাহলে হামাস ‘বিশ্রাম নেবে, পুনর্গঠিত হবে এবং আবারও ইসরায়েলে হামলা চালাবে। যেটিকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। প্রশ্ন হচ্ছে স্পঞ্জ বোমার কথা শুনতেই কি হামাস যুদ্ধবিরতি স্ট্র্যাটেজি নিল? হামাসের টানেলগুলোকে নিশানা করে নয়া রণকৌশল নিচ্ছে ইজরায়েলয়্গাজা সীমানায় ৮০ মিটার গভীরে প্রায়ৎএকশো কিলোমিটার লম্বা টানেল রয়েছে সেই টানেল ব্যবহার করে তারা যেন ইজরায়েলে হামলা চালাতে না পারে সেই জন্য নতুন কায়দায় আক্রমণের পরিকল্পনা চলছে।
স্পঞ্জ বোমা ব্যবহার করে এই টানেলগুলো আটকে দেওয়া হবে। প্লাস্টিক কন্টেনারের মধ্যে দুরকম কেমিক্যাল রাখা হবে ফাটার সময়ে এই দুই তরল মিশে গিয়ে ফোম তৈরি হবে, ফলে টানেলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। হামাসের তরফ থেকে শুধুমাত্র যু্দ্ধবিরতি নয় তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই রাশিয়া যান ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের একটি প্রতিনিধিদল। এ প্রতিনিধিদলের সদস্য আবু হামিদ বলেন বেসামরিক ইসরাইলি নাগরিকদের মুক্তি দিতে চায় হামাস তবে এর জন্য অবশ্যই যুদ্ধবিরতি করতে হবে। এদিকে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড দাবি করেছে তাদের কাছে গাজায় বন্দি থাকা অন্তত ৫০ জন ইসরাইলি নিজ দেশেরই বোমা হামলায় মারা গেছে। এবার দেখার ইজরায়েলর হামাসের এই শর্ত মানে কিনা?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়