[ad_1]
২০১৬ সালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। কিন্তু, সাত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি পুলিশ। এক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। সেই সংক্রান্ত মামলায় পুলিশের ভূমিকায় তীব্র অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। তাই পুলিশ কেন গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করেনি তার ব্যাখ্যা জানতে চাইছে কলকাতা হাইকোর্ট। এজন্য বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে কমিশনার সশরীরে হাজিরা দিলে তার কাছে এই সংক্রান্ত ব্যাখ্যা চাইতে পারেন বিচারপতি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল খোরপোষ সংক্রান্ত একটি মামলায়। স্বামীর কাছে খোরপোষ চেয়ে আলিপুর আদালতে মামলা করেছিলেন সুচারিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক মহিলা। সেই সংক্রান্ত মামলায় স্বামীকে মাসে ৫০ হাজার টাকা খোরপোষ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। কিন্তু আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও মহিলাকে খোরপোষ না দেওয়ায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আলিপুর আদালত। ২০১৬ সালে আদালতের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশের পরেও পুলিশ মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করেনি। এরই মধ্যে ওই মহিলার স্বামী বিদেশে চলে গিয়েছেন। সেই তথ্য জানতে পেরেছে বিধাননগর পুলিশ। তা জানার পরে অভিবাসন দফতরে দায়সারা একটি চিঠি পাঠায় পুলিশ। এর পরে আর কোনও পদক্ষেপ করেনি।
সেই মামলাতে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। মহিলার আইনজীবী সাবির আহমেদ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। তার বক্তব্য, নির্দেশ মেনে পুলিশের পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ তা করেনি। এই সংক্রান্ত মামলায় আগে তিনি বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়। সেই রিপোর্ট বুধবার জমা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। তবে সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি । সেই কারণে পুলিশ কমিশনারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।