ওয়েব ডেস্কঃ ” মন্দির “ আগে বললে হয়ত বুঝতে হতো “আলয় ” বা “ঘর”। কিন্তু আজ বাংলা ভাষা পরিবর্তন হয়েছে, শব্দ এখানে সংকীর্ণ আকার ধারণ করেছে। মন্দির বললে আমরা ঈশ্বরের স্থান বুঝি, এককথায় দেবতার আলয়। প্রশ্ন এখন যে, মন্দিরে গেলে আমরা ধূপ, ফুল, ফল, মিষ্টি, চন্দন দিয়ে পূজা অর্চনা করি, এমনকি জুতো খুলে মন্দিরে ওঠাটাই আমাদের রীতি।
কিন্তু এমন এক স্থানের কথা আলোচনা করা যাক যেখানে ঠাকুরের মানসিক শোধ করতে ভক্তরা জুতোর মালা দেন। ভাবলে মনে হবে যে, এমা এ সব কি কথা? এ শোনাও পাপ। কিন্তু এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। কি সেই জায়গা? ঠাকুরের স্থান কেমন? কোথায় এমন হয়। আসুন তবে চোখ বড়ো করে না ভেবে, জেনে নেওয়া যাক তার বিস্তৃত পরিচয়।
……দেবী লাকাম্মা মূর্তি……
হ্যাঁ,এই দেবতা হলেন “দেবী লাকাম্মা “। ভারতের দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকের গুলবার্গা জেলার হিন্দু দেবী লাকাম্মা।বিগত ৬০০ বছরের দেবী। প্রথাগত কোন রীতি মেনেই এর পূজো হয় না। কিন্তু দেবী স্থানীয়দের কাছে মহান জাগ্রত। প্রচলিত কাহিনি বলে আগে দেবীর সামনে পশুবলি হতো কিন্তু এখন, সেই প্রথা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই মাকে এখন জুতোর মালা পরানো হয়। ভাবুন যেখানে হিন্দুদের মন্দিরে উঠতে হলে জুতো ছেড়ে উঠতে হয়, আর এখনে হিন্দুদের দেবতার পূজার নৈবেদ্য জুতো। তবে এখানে দেবীর কোন পূর্ণ অবয়ব নেই।
কিন্তু পূজো হয় কখন? দেওয়ালির ছয়দিন পরেই পূজা হয়। দেবীকে নিরামিষ আমিষ দুইধরনের খাবার প্রসাদী দেওয়া হয়। ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হলে মন্দিরের বাইরের গাছে জুতোর মালা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়। এই দেবী শিষ্যদের জুতো পরে হাঁটু ও পায়ের ব্যাথা কমিয়ে দেন। এমনকি তাঁদের বিশ্বাস যে দেবী এই জুতো পড়ে দুষ্টের দমন করেন।
“বিশ্বাসে মেলায় কৃষ্ণ তর্কে বহুদূর “- এই বিশ্বাস নিয়েই ভক্তের এগিয়ে চলা আর তবু তথ্য জানতে আর বিস্তৃত জানতে আরো চলছে পর্যবেক্ষণ। আসছে মানুষের দল, পরিদর্শক আর গবেষণা।তবুই এখানেই অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্যের যৌক্তিকিতা।