ওয়েব ডেস্কঃ মন্দির থাকবে আর ইতিহাস থাকবে না সেটা কি করে হয়, তাই না? আর ইতিহাস ভিত্তি করেই তো পৌরাণিক তত্ত্ব। তবে সব তত্ত্ব তো আমাদের জানা থাকে না, থাকে পৌরাণিক তত্ত্ব, প্রচলিত মত আরো অনেক কিছু। তবে সব কিছুর উর্ধ্ব ভক্তি। আজ তাই এমন এক রহস্য কাহিনির বৌদ্ধ মন্দির পাকিস্থানের এক মন্দির। সেই মন্দিরের পুকুরের জল শিবের চোখের জলে তৈরি। কথাটা শুনলে একটু অলৌকিক মনে হলেও প্রথাসর্বস্বতা অন্য কথা বলে।
এখন মনে হচ্ছে নিশ্চয়, মন্দিরের নাম কি? মন্দিরটির নাম কাটাসরাজ মন্দির। পাঞ্জাব প্রদেশের চাকওয়াল জেলায় পাক অধিকৃত স্থানে মন্দিরটি অবস্থিত। এই শিবাশ্রুতে যে পুকুর তার চারপাশ ঘিরে সাতটি মন্দির। কথিত আছে সতী বিহনে স্বয়ং শিব ঐ জায়গাতেই কেঁদেছিলেন। শুধু ঐ টুকুই নয় স্বয়ং পাণ্ডব রা যখন বনবাসে ছিলেন, তখনই এই মন্দির তৈরি হয়। কথিত আছে পাণ্ডব নির্বাসনে পাণ্ডবরা ঐ পুকুরে জল খেতে যান, আর সেই সময় যক্ষ তার পাহাড়ায় ছিল। সে শর্ত রাখে যে, তার অনেক প্রশ্ন আছে। সে প্রশ্নের উওর কিন্তু অন্যরা দিতে পারেন, কেবল মাত্র যুধিষ্ঠির এর উওর দিতে সক্ষম হন।
কিন্তু এতো প্রচলিত কথা, সত্ত্বেও খুব জানতে ইচ্ছা করে না কি যে, এখনও এই মন্দিরের সেই রমরমা আছে। আগে নাকি শিবরাত্রির সময় অনেক হিন্দু আসতেন। আজ সেই সময় নেই, অবসর হারিয়েছে। আশেপাশে হিন্দুদের বাস না থাকায় সেটি এখন পরিত্যক্ত। তবে শোনা যায়, যে আলবিরুনি এখানে এসেছিলেন, সংস্কৃত শিখেছিলেন। এখানেও ইতিহাস কথা বলে। শোনা যায় এখনও সেখানে বৌদ্ধ মন্দির আর পরিত্যক্ত হিন্দু মন্দির আছে। তবু ইতিহাস অলৌকিকতা মিশে এ এক অনন্য রূপ পরিগ্রহণ করেছে, এখানেই শ্রেষ্টত্ব।