সম্প্রতি রামনবমীর নাম করে সাম্প্রদায়িক হানাহানি ও রাজনৈতিক কাদাছোঁড়াছুড়ি-তে মত্ত একদল। মিডিয়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়া – ছবি, পোষ্ট , ভিডিও … উত্তেজনা ছড়াতে বাদ যাচ্ছেনা কিছুই। প্রতিনিয়ত হিন্দি, হিন্দুত্ব আর হিন্দুস্তান প্রতিষ্ঠার আহ্বান। আর তাতেই গা ভাসাচ্ছেন কিছু কিছু অদূরদর্শী ব্যাক্তি। শুকিয়ে যাওয়া মন্দির-মসজিদের ঘা চুলকিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিচ্ছে “সাম্প্রদায়িকতার নমক”।
এবার বাজারে আসছে, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী-র জীবনী~ সৌজন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরঙ্গ দল, সর্বপরি বিজেপি । বিদেশ থেকে আনা ডলারে শাণিয়ে নেওয়া হচ্ছে অস্ত্র। দেশের মানুষের রক্ত চাই তাদের।
একঢিলে তিন পাখি মারার প্রচেষ্টা নরেন্দ্র দামোদর দাস ভাই-দের।
একঃ লকেট-রূপার ভরসায় না থেকে ভারতকুশারী কে দিয়ে প্রমান করানো “মিত্রোঁ” রা কতটা বাঙালী।
দুইঃ গুজরাটের চেনা দাঙ্গার ছবি যদি সত্যি হয়, তাহলে বাংলার বুকে খোদ কলকাতায় স্বাদীনতা-প্রাক্কালে চলা রায়ট কে দিয়েও বোঝানো আমরা-ওরা র পার্থক্য।
তিনঃ ছবি দেখে বা সেই ক্লিপিংস মোবাইলে whatsapp-এ পেয়ে কারোর মনে যদি “বীর হনুমানের” মতো লঙ্কা জ্বালানোর ইচ্ছা জাগে, উগ্র হিন্দুত্বের চুলকানি দিয়ে দিতে পারলে তো কথাই নেই।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হবে বিজেপির। ভাবছেন ভোট বাড়বে তাই?? না এটা আরো বড় খেলা বানরসেনা দের…
বাংলায় একটা riot লাগাতে পারলে, একটা দাঙ্গা বাঁধাতে পারলে সীমান্তবর্ত্তী রাজ্যে Article 356এ রাষ্ট্রপতি শাসন… বাকি তো শিশুরাও জানে-বোঝে। তোড়জোড়ে ফেসবুকে ভেসে উঠছে “বারুইপুরে রোহিঙ্গা”… দেশের সুরক্ষার সাথে আপোষ ইত্যাদি…
চুলোয় যাক গণতন্ত্র-ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি , রবিঠাকুর বা নজরুল নন, ওনাদের নমস্বঃ ব্যাক্তিত্ব গোপাল পাঁঠা
হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা দখল করতে পারদর্শী, যেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি সেখানেই তাদের “মিত্রোঁ” হাজির। সে ত্রিপুরার আইপিএফটি হোক বা দার্জিলিং এর বিমল গুরুং।
- আর মোদী ভাইরাও এটা ভালোভাবেই জানেন দিলীপ-রাহুল-রুপা-লকেট মায় মুকুলকে নিয়ে রাজনৈতিক লড়াইয়ে বাংলায় সমকক্ষ হওয়া খুব কঠিন। তাই হোক না সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যাক না বেশকিছু প্রাণ । অপরাধ -দোষ-দায়-দায়িত্ব সবই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আর প্রশাসনের ঘাড়ে।
তাই, ৬নম্বর মুরলীধর লেন-এ বসে ১৫হাজার টাকা মাস মাইনে নিয়ে, উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে – ইরাকের ছবি বনগাঁর বলে ছড়িয়ে বেড়ান, আপাতত তাদের উপরেই বাংলায় দাঙ্গা লাগানোর ভার ছেড়ে দিয়েছেন অতি-হিন্দুত্ববাদী দলের কেন্দ্র নেতৃত্ব।