[ad_1]
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে বেনজির দুষ্কৃতী তাণ্ডবের মুখে পড়েছেন ED আধিকারিকরা। একাধিক ED আধিকারিকের মাথা ফেটেছে বলে সূত্রের খবর। আক্রান্ত হয়েছে একের পর এক সংবাদমাধ্যম। এজলাসে বসে এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কার্যত রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানালেন তিনি।
সন্দেশখালির ঘটনা শুনে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘তদন্তকারীরা আক্রান্ত হলে কী করে তদন্ত হবে? রাজ্যপাল কেন রাজ্যের সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে রিপোর্ট দিচ্ছেন না বুঝতে পারছি না।’ সিবিআইয়ের আইনজীবীকে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কী করছেন? আপনাদের বাহিনী গুলি চালাতে জানে না? ২ জনকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠান।’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য পরোক্ষে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি বলে মনে করছেন অনেকে।
শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী – পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।
একই সঙ্গে আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা ও সরাসরি সম্প্রচারের যন্ত্রাংশ। একাধিক সাংবাদিকের মাথা ফেটেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ভয়াবহ! পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় তীব্র অরাজকতা চলছে। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা নৃশংস হামলার শিকার হয়েছে। আমার সন্দেহ দেশবিরোধী এই হামলাকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গারাও ছিল। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ জি, রাজ্যপাল, ইডির ডিরেক্টর ও সিআরপিএফকে অনুরোধ করব, নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতে ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। NIA-এরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।’
এর পরে জানা যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ফোনে কথা হয়েছে। এই ঘটনায় দিল্লির সদর দফতরে রিপোর্ট দিয়েছেন কলকাতার আধিকারিকরা।