[ad_1]
মানুষ চেয়েছে বলে নরেন্দ্র মোদী আজ প্রধানমন্ত্রী। রবিবার নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারের পৈলানে ‘বার্ধক্য ভাতা’ প্রদান অনুষ্ঠান থেকে কার্যত এই দাবি করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, মানুষ না চাইলে নেতার কোনও দাম নেই। মানুষ চেয়েছে বলেই আজ কেউ বিধায়ক, কেউ সাংসদ, কেউ মুখ্যমন্ত্রী কেউ প্রধানমন্ত্রী।
এদিন অভিষেক বলেন, আমরা মঞ্চে যারা বসে আছি তাদের কী দাম? আমরাদের এক পয়সাও দাম নেই। দাম হল মানুষের ভোটের। আজ মানুষ চেয়েছে বলেই আমরা কেউ বিধায়ক, কেউ সাংসদ, কেউ মুখ্যমন্ত্রী, কেউ প্রধানমন্ত্রী। না চাইলে কাঁচ কলা। এটা যারা বোঝে না তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। এই কথাটা আমি বারবার বলি।
এদিনের সভায় তৃণমূলে নবীন প্রবীণ দ্বন্দ নিয়েও মুখ খোলেন অভিষেক। বলেন, ‘অনেকে বলছে নতুন আর পুরনো তৃণমূলে দ্বন্দ। আমি বলছি তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। কোথাও কোনও দ্বন্দের জায়গা নেই। দল আমাকে যে সুযোগ দিয়েছে, যে জায়গা দিয়েছে পালন করেছি। ২০২১ সালের নির্বাচনে দল আমাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে বলেছিল, আমি দিয়েছি। আমাকে দল ২০২৩ সালের পঞ্চায়েতে নবজোয়ার করতে বলেছিল আমি করেছি। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে বলেছিল আমি আমার সীমিত সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করেছি। ২০২৪ সালেও দল যদি কোনও দায়িত্ব দেয় আমি অক্ষরে অক্ষরে সেটা পালন করার চেষ্টা করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে দল পরিচালনা করছেন। আমার যতটা ক্ষমতা বা এক্তিয়ার রয়েছে আমি সব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াব। এতে দ্বিমত কোথায়?’
দ্বন্দ অস্বীকার করলেও নবীন – প্রবীণ নিয়ে নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন অভিষেক। বলেন, ‘হ্যাঁ আমি বলেছি, বয়স হলে কর্মক্ষমতা কমে। আমি আড়াই মাস রাস্তায় ছিলাম, নবজোয়ার করেছি। আমার বয়স ছিল ৩৬। ৭০ বছর বয়স হলে আমি আড়াই মাস রাস্তায় থাকতে পারব? পারব না, এটা আপনাকে মানতে হবে। আমার কর্মক্ষমতা একটু হলেও তো কমবে। ২০ বছর পরে আমার কর্মক্ষমতা একটু হলেও কমবে। তিরিশ বছর পর আরও কমবে। ৪০ বছর পর আরও কমবে। এটা তো ধ্রুব সত্য, অস্বীকার করার কী আছে? তার মানে এই না যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছে, আমি আর দলের কোনও কাজ করব না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দল চালাচ্ছে। তার সহকর্মী সাথী যারা পাশে রয়েছে। নতুন যারা এসেছে তারাও পাশে রয়েছে। আমাকে যখন যে দায়িত্বে দল ব্যবহার করতে চাইবে আমি দলের অনুগত সৈনিকের মতো গলা কেটে দিলেও দলের সঙ্গে আছি। যতদিন বাঁচব জয় বাংলা বলব। এতে অন্তর্দ্বন্দ, দ্বিমত, গৃহদাহ এসব কোথা থেকে আসছে?’