Home আপডেট Afghan national arrested: লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বানিয়েছিল ভারতের ভুয়ো প্রমাণপত্র, ধৃত ২ আফগান নাগরিক

Afghan national arrested: লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বানিয়েছিল ভারতের ভুয়ো প্রমাণপত্র, ধৃত ২ আফগান নাগরিক

Afghan national arrested: লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বানিয়েছিল ভারতের ভুয়ো প্রমাণপত্র, ধৃত ২ আফগান নাগরিক

[ad_1]

ভারতের ভুয়ো প্রমাণ পত্র সহ প্রায়ই বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আর এবার ভারতের ভুয়ো প্রমাণপত্র সহ গ্রেফতার হল আফগানিস্তানের দুই নাগরিক। জানা গিয়েছে, ওই দুই নাগরিক মৈত্রী এক্সপ্রেসে করে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু, তার আগেই রেল পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে একজন ১৩ বছর বয়সে ভারতে ঢুকেছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারতের ভুয়ো ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড। ধৃতদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এছাড়া বেআইনি অনুপ্রবেশের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ওয়াহিদ খান ও আব্দুল রহমান। 

আরও পড়ুন: নিউ টাউনে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি

জানা গিয়েছে, ওই দুজন মৈত্রী এক্সপ্রেসে করে বাংলাদেশের যাওয়ার জন্য এদিন কলকাতা স্টেশনে আসে। তখন অভিবাসন চেকিংয়ের সময় তাদের কথাবার্তা এবং আচরণ দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। এরপরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তারা স্বীকার করে নেই যে তারা আফগান নাগরিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই রেল পুলিশ জানতে পারে তাদের কাছে ভারতের প্রমাণপত্রসহ একাধিক ভুয়ো নথি রয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই দুজন গুয়াহাটি থেকে কলকাতা স্টেশনে এসেছিল। এরমধ্যে আব্দুল রহমান ১৩ বছর বয়সে আফগানিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন। অবৈধভাবে তিনি ভারতে ঢুকেছিলেন। তার গোটা পরিবারই অবৈধভাবে ভারতে রয়েছে। তিনি পেশায় একজন কাবুলিওয়ালা। প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে থাকতে শুরু করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে চলে যান পাথরপ্রতিমায়। সেই সূত্রে কয়েকজন কাবুলিওয়ালার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর তিনি এই পেশায় চলে আসেন। এর পাশাপাশি সুদের কারবার শুরু করেন ওই ব্যক্তি। পরে তিনি অসমে সঙ্গে চলে যান। পরিবারের সদস্যরা সেখানে থাকতে শুরু করেন।

জানা গিয়েছে, সেখানে গিয়ে এক লক্ষ টাকা খরচ করে দালাল মারফত ভোটার কার্ড তৈরি করেছিলেন ওই ব্যক্তি । এছাড়া ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিলেন। শুধু তাই নয় জন্মের শংসাপত্র, স্কুল সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি তিনি তৈরি করেছিলেন অবৈধভাবে। তিনি আরও জানান, অসমে রিজিওন্যাল পাসপোর্ট অফিসের এক আধিকারিক এই কাজে তাকে সাহায্য করেছিলেন। জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই সমস্ত নথি তৈরি করা হয়েছে। ওই দুই আফগান নাগরিকের পাসপোর্ট ঠিকমতো যাচাই না করেই দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় গুয়াহাটির ওই পাসপোর্ট অফিস থেকে আরও অনেক পাসপোর্ট অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here