[ad_1]
Bangladesh: “অয়েল শক” ফিরছে? নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের গায়ে এতো বড় ধাক্কা? মধ্যপ্রাচ্যেই জমানো অ্যাসেট! যুদ্ধের আঁচে তেল-গ্যাস ফুটছে। ব্যাপক ক্রাইসিস পিরিয়ড আসছে? শেষ সম্বল কয়লা খনি! জ্বালানির ভোগান্তিতে অস্থির। বাংলাদেশকে আল্টিমেটলি এভাবে ঠকিয়ে দিল মধ্যপ্রাচ্য? মধ্যপ্রাচ্যে চলছে হামাস ইসরাইল যুদ্ধ। গোটা বিশ্ব একটা ক্রুশিয়াল টাইমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। টেনশন বাড়ছে বাংলাদেশের। যুদ্ধ আরো লম্বা হলে, কি করবে বাংলাদেশ? যুদ্ধ চলতে থাকলে অনেকটাই মধ্যপ্রাচ্য নির্ভর আমদানির কারণে বিপদে পড়তে পারে বাংলাদেশ। জ্বালানি হিসেবে কয়লার বিষয়টা নিশ্চিত করা গেলে কিছুটা সমাধান মিলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের দগদগে ক্ষত এখনো পুরোপুরি শোকায়নি। তেল গ্যাসের ঘাটতি ভুগিয়েছে সব খাতকে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে উদ্বেগ জাগাচ্ছে হামাস-ইসরাইল সংঘাত। বাংলাদেশে মূলত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকেই আমদানি করা হয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল। পরিশোধিত জ্বালানি তেলেরও অন্যতম উৎস মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ। এলএনজি ও আমদানি করা হয় কাতার ও ওমান থেকে এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের এফেক্টে অস্থির হয়ে উঠেছে বৈশ্বিক জ্বালানির বাজার। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত জ্বালানি তেল বাণিজ্যের রুটগুলো মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত হওয়ায় যুদ্ধের পরিসর বাড়তে থাকলে ব্যাহত হবে জ্বালানি সরবরাহ। বাড়বে দাম, সমস্যায় পড়বে মানুষ! এই কারণেই ৭ই অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকেই অর্থনীতিবিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
সেক্ষেত্রে সুরাহা হতে পারে একটাই কয়লা। কারণ বাংলাদেশে কয়লা আমদানি হলেও সেটা মধ্যপ্রাচ্য থেকে হয়না, তাই চাপ কম। এখন একটাই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, জ্বালানি সংকটের মতো এতো বড় ধাক্কা এলে কীভাবে সেই পরিস্থিতি সামাল দেবে বাংলাদেশ? কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে? কাটছাঁট করবে কিসে? সাধারণ মানুষের জীবনে কোনো এফেক্ট পড়বে না তো? আপতকালীন পরিস্থিতি তাই ঘুরেফিরেই আসছে সাশ্রয় আর জ্বালানি ব্যবহারে কৌশলী হওয়ার পরামর্শ। তাছাড়া এই শীতও দিতে পারে কিছুটা স্বস্তি। এ সময় চাহিদা কিছুটা কম থাকবে; বিশেষ করে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে। এমন অবস্থায় সামনে আসছে মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর প্রসঙ্গও। কিন্তু, তাতেও কতটা কি সামাল দেওয়া সম্ভব? জ্বালানি খাতে বড় ধরনের সংকট তৈরি হলে, জ্বালানির মূল্য বেড়ে গেলে সব ক্ষেত্রেই দাম বাড়বে। সবাই এটার সুযোগ নিতে চাইবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকেই বলছেন, শীঘ্রই মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুর সমাধান হয়ে গেলেই একমাত্র রক্ষা নাহলে থাকছে প্ল্যান বি।কয়লার সরবরাহ ঠিক রাখলে এবং কিছুটা বেশি করে কিনে রাখলে, এই সংকট থেকে বাঁচতে পারে বাংলাদেশ মত বিশেষজ্ঞদের। তবে তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ কয়লা আমদানির জোগান নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে এসব কয়লা আমদানির জন্য যে ধরনের অবকাঠামো প্রয়োজন, সেগুলো গড়ে তোলা যাচ্ছে কিনা সেটি দেখা। মনে করিয়ে দিই, ডলার ও রিজার্ভ সংকটের কারণে একেক সময় বাংলাদেশে গ্যাস ও কয়লা আমদানিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ পড়ে থেকেছে। সেই কয়লার ওপরেই ঠিক কতটা ভরসা করা যাবে এবারের পরিস্থিতিতে? এটাই এখন লাখ নয় কোটি টাকার প্রশ্ন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়