বিরহ প্রেম একাকীত্ব আর কটা দিন সবুর করো সময় কে একটু ধরে রেখো । আর লাঞ্ছনা নয় পাকা সোনার মতো অঢেল সুখ তোমার গা ছুঁয়ে আসবে । শুধু একটা ভালো চাকরি হতে দাও । তুমি আপাতত: পা ভিজেয়ে রাখো আলতায়, প্রতিদিনের দুঃখ কষ্টকে নিজের মতো করে মাথার বালিশ করো । খাঁ খাঁ করে যদি বুকের ভেতর দুটি কতক কবিতা লেখো আমার কথা ভেবে তোমার কাজলের আঁচে । দেখবে শুকনো আঁধারের ডানায় বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে ভালবাসা আকাশ হয়ে উঠবে তোমার ছাদে । ভালবাসার তাউসে ময়লা জমতে দিও না । পারো যদি আপাতত: অল্প একটু কেঁদে নিতে পারো । অনেকটা হালকা লাগবে । আমি বসে নেই। সত্যি বলছি। তোমার কথা ভেবেই অনেকটা হেঁটে এসেছি দু হাতে প্রথানুযায়ী প্রার্থনা করেছি তোমার কুল দেবতাকে । তোমার সাঁজো শাড়ির ভাঁজে যে সুখ ছড়িয়ে রেখেছো ঝেড়ে ফেলো না । চালগুঁড়োর আলপনা এঁকে রেখো রোজকার মতো তোমার উঠোন বাড়ির ঘর দুয়ার চৌকাঠ কাছে থাকার ভীষণ টানে । সন্ধ্যা পাতা মুড়িয়ে টাটকা ফুলে মালা না ই বা গাঁথলে শুকনো ফুলের শেষ সুখ টুকু কুড়িয়ে নেবো আমরা একদিন । চাঁদনী রাত তখন ও তোমার শোবার ঘরে গোধুলির সানাই নিয়ে হাতে । অবাধ সংসারে বেদনার দংশন ভোরের শিশিরের মতো শীতল হবে, উপচে পড়বে ভালবাসা প্রেম । সার্থক হবে সিঁদুর ছূঁয়ে থাকা তোমার প্রশস্ত কপাল। ঘুমের জাজিমে একটু কাত হয়ে নাও খোলা চুলের গন্ধে । এখন ভর দুপুর। জানি এটা টানা পোড়েনের সময় । ঘুমের ঘামে চুল ভিজলে নাকি এলোমেলো ভাবনায় মাথা ধরে না । তুমি নাকি সারা রাত ঘুমোয়নি, মশারির চারকোণ তোমার বাঁধা চুল দেখে দিব্যি বুঝেছিলাম । নিজের অসুখ একান্ত নিজের বলে মনে হয় তোমার । পায়ের নিচে কাঁটা তবু মুখ রাকাড়ে না তোমার । বিয়ে হলো ন মাস বিয়ের কাঠ এখনও পুড়ছে নিবীড়ে । চোখের আকুলতায় তুমি এ সব কথা বল না তোমার পুরুষ বন্ধুকে । মাস বাড়লে বছর বাড়ে দিন ফুরোলে মাস ও ফুরোয় । এমনি করে দেখো এক মহাসময় আসবে সোয়াস্তির রঙ নিয়ে । সে দিনও তোমায় ইঞ্চি পাড়ের তাঁত সিল্ক বেশ মানাবে। আপাতত: আটপৌঢ় শাড়িতে তোমার শরীরটা ভিজিয়ে নাও । পৃথিবীর গায়ে জ্বর থাকলেও তোমার পছন্দ অপছন্দ বেছে নিতে অভাব থাকবে না । আজ যতটুকু আছে ততটুকু টুকড়ো টুকড়ো করে জুড়ে নিও, গোপন অব্তংসার রঙ । চোখের পাতায় সুখের ছিঁটে নাই বা পড়লো ক ' ফোঁটা চোখের জলে ভিজিয়ে নিও তোমার দুহাতের তালু । বড়ো কাছা কাছি থেকো আমার পাথরের মতো ঘুমিয়ে থেকো ছেড়ে আসা আমার কোলবালিশে এখন অভিমানে গা ভাসিয়ে নিও না এখন গড়ার সময় মুহূর্ত । সেই বেলা তোমার চোখের বিছিন্ন কাতর কাজল আমাকে অনেক কিছু বলেছিলো তোমার নাকি বাড়ি উঠোন হেঁসেল করে সারাক্ষণ কাটে । জেনো এ কাটায় রক্ত ক্ষয় হয় না তবু তোমার চিকন হাসি চৌকাঠ জুড়ে জানলার শিঁকেয় সূর্যের কাক প্রতীম বিভা । দিল্লি থেকে আর কটা দিন পরে খবর পাবো তার অপেক্ষায় বসে আছি । তুমিই বলেছ তোমার এখানেই হবে একটা চাকরি, হবে অন্নসংস্থান । তোমার বিরহে আমার ভালোবাসা সাজিয়ে সারাদিন থাকি বিভোর নিয়ে হাতে আমার বায়োডাটা । বিকাশ দাস