[ad_1]
বসার জায়গা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা পুরসভার অধিবেশন। চেয়ারে বসা নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পডলেন বিজেপি এবং বাম কাউন্সিলররা। ঘটনায় শোরগোল পরে যায় পুরসভার অন্দরে। শেষপর্যন্ত এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ স্থগিত থাকে পুরসভার অধিবেশন। আসলে তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শামসুজ্জামান আনসারি বিরোধীদের জন্য বরাদ্দ জায়গায় বসেন। তাই নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত।
আরও পড়ুন: বেতন বেড়েছে বিধায়কদের, এবার কাউন্সিলরদেরও বৃদ্ধির দাবি কংগ্রেসের
পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দেরি করে অধিবেশনে পৌঁছান তৃণমূল কাউন্সিলর। এরপর বিজেপির কাউন্সিলর তথা পরিষদীয় দলের নেত্রী মীনাদেবী পুরোহিতের জন্য বরাদ্দ জায়গায় গিয়ে তিনি বসে পড়েন। মীনাদেবীর ডেস্কের উপরে থাকা যাবতীয় কাগজপত্র, বই পাশের আসনে রেখে দেন শামসুজ্জামান। তাঁকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় পুর অধিবেশনে। বিজেপি কাউন্সিলরদের দাবি, প্রথমে তারা ভেবেছিলেন যে শামসুজ্জামান হয়ত মজা করছেন। কিন্তু পরে দেখেন তিনি সত্যি-সত্যিই সেখানে বসেছেন।
তাঁদের অভিযোগ, মীনাদেবী পুরোহিত প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র ছিলেন। তাঁকে এরকম অসম্মান কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাঁদের আরও অভিযোগ, শামসুজ্জামান বসার সময় বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ-সহ দলের অন্যান্য কাউন্সিলররা আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের কথা শুনতে চাননি শামসুজ্জামান। বামেরাও বিজেপির সঙ্গে চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। শুরু হয় দু পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়।
বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের বক্তব্য, তৃণমূল পাড়ার গুন্ডা-চোরদের দল। এই ঘটনায় সেটাই আরও একবার প্রমাণিত হল। যাঁর চেয়ারে বসার কথা নয়, সেই চেয়ারে বসছেন। আবার অন্যের জিনিসপত্র জোর করে ফেলে দিচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জা। শামসুজ্জামান জানান, ওটা বিজেপি কাউন্সিলরের জায়গা নয়। প্রত্যেকবার তিনি সেখানেই বসেন। ওখানে রিজার্ভ লেখা রয়েছে। তাই এবারও তিনি সেখানে বসেছিলেন। এদিন বসার পরে বিরোধীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে চেয়ারপার্সন মালা রায়ের নির্দেশে অন্যত্র গিয়ে বসেন শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি কি পাড়ার ক্লাবের মতো চেয়ার নিয়ে ঝামেলা করব।’ এই ঘটনার জেরে বেশ কিছু পুর অধিবেশন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় অধিবেশন।