টালিগঞ্জ সিনেমাপাড়াতেও বিজেপি র স্বপ্ন সফল হলনা। কোনও দাগ কাটতে পারলেন না গেরুয়া ঘনিষ্ঠরা । বাম ঘেঁষা কিছু স্বনামধন্য শিল্পীও জিতলেন বড় ব্যবধানে।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ১৮টি আসন জিতে রীতিমতো জাঁকিয়ে বসতেই পালাবদলের খেলা শুরু হয় টলিউডেও। যে টলিউডে বিগত বেশ কয়েক বছর শাসকদল ঘনিষ্ঠরাই ছিলেন শেষ কথা, সেখানে সিঁদ কাটতে শুরু করে গেরুয়া শিবির। রূপা গাঙ্গুলি, লকেট চট্টোপাধ্যায় বা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোদস্তুর রাজনীতির ময়দানে যেমন নেমেছেন তেমনই কখনও অগ্নিমিত্রা পল, কখনও শঙ্কুদেব পান্ডার দায়িত্বে টলিপাড়ার চেনা মুখ এবং কলাকুশলীরা সরাসরি নিজেদের শিবিরে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলীপ ঘোষেরা। যার জেরে বাংলা দেখেছে, কয়েক দফায় দিল্লি এবং কলকাতায় বড় ও ছোট পর্দার বেশ কিছু মুখ সাড়ম্বরে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তৈরি হয়েছে নয় নয় করে দুটি বিজেপি সমর্থিত কলাকুশলীদের সংগঠন।
এই প্রেক্ষাপটেই ২০২০-র আর্টিস্ট ফোরামের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। স্বভাবতই আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। উত্তেজনাও। নজিরবিহীন ভাবে এবছর আর্টিস্ট ফোরামের বিভিন্ন পদের জন্য ৩৭ জন মনোনয়ন জমা দেন। যার মধ্যে বিজেপিঘনিষ্ঠ বহু মুখই ছিলেন। টানটান উত্তেজনায় ভোটগ্রহণ পর্ব শেষে যখন ফলাফল বেরলো তখন অবশ্য দেখা গেল কিছু ভোট পেলেও গেরুয়া শিবির কোনও ইতিবাচক প্রভাবই ফেলতে পারেনি আর্টিস্ট ফোরামের নির্বাচনে। অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, অঞ্জনা বসু, কৌশিক চক্রবর্তী, লামা বা রূপা ভট্টাচার্য…বিজেপিতে যোগ দেওয়া ছোটপর্দার বড়মুখেরা সকলেই হেরেছেন।
বড় ব্যবধানে জিতেছেন অরিন্দম গাঙ্গুলি , জুন মালিয়া , সোহম এবং জিত। শাসক ঘনিষ্ঠ ভরত কল যদিও কিছু ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন শংকর চক্রবর্তীর কাছে। তাৎপর্যের বিষয়টি হল, শংকর চক্রবর্তী-পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-দেবদূত ঘোষকে কখনোই শাসক ঘনিষ্ঠ বলা যায় না। বরং তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে বামপন্থী হিসেবেই পরিচিত। যদিওআর্টিস্ট ফোরামের নির্বাচনে তাঁরা কোনও রঙই সরাসরি নিজেদের গায়ে লাগতে দেননি।
উল্লেখ্য সংসদীয় নির্বাচনের পদ্ধতিতে গোপন ব্যালটেই এবার ভোটদান হয়েছে আর্টিস্ট ফোরামে।