[ad_1]
দক্ষিণ দিনাজপুরে বোল্লা কালীপুজোয় পাঁঠা বলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অস্বীকার করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এর সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িয়ে। আর যে প্রাণীকে হত্যা করা হচ্ছে তা গৃহপালিত। ফলে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রশ্ন নেই।
প্রতি বছর রাস পূর্ণিমার পরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বোল্লা কালীপুজোয় প্রায় ১০০০০ পাঁঠা বলি হয়। এই প্রথাকে নৃশংস ও প্রাণী অধিকার বিরোধী বলে দাবি করে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এক আইনজীবী। সেই মামলার শুনানিতে শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘সব উৎসবের একটা মেজাজ থাকে। বলির সঙ্গে বহু মানুষের আস্থা যুক্ত। যে পশুকে বলি দেওয়া হচ্ছে তা গৃহপালিত। খাওয়ার জন্যই তাকে প্রতিপালন করা হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না।’ বিচারপতি তামিলনাড়ুতে জালিকাট্টু বৈঠ করার উদ্দেশে সেরাজ্যের সরকারের পাশ করা আইনের প্রসঙ্গও তোলেন। বলেন, জালিকাট্টুকে বৈধ ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাহলে এক্ষেত্রে কী করে বাধা দেওয়া যেতে পারে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ধর্মীয় কারণে গৃহপালিত পশু হত্যা বন্ধ করা যেতে পারে এমন কোনও আইন নেই। তবে সব কিছু যেন নিয়ম মেনে হয় সেটা উদ্যোক্তাদের দেখতে হবে। মার্চ মাসে এব্যাপারে আদালতে রিপোর্ট দেবেন উদ্যোক্তারা’।
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে বোল্লা কালীপুজো। মনষ্কামনা পূর্ণ হলে এই পুজোয় ছাগ বলি দেন স্থানীয় মানুষজন। প্রতি বছর প্রায় দশ হাজার পশু বলি হয় এই পুজো উপলক্ষে।