[ad_1]
কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা চলছে সরকার সম্পর্কিত। কিন্তু, সেই সমস্ত মামলার শুনানি সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বর্তমানে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ শূন্য রয়েছে। এর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। সাধারণত এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল রাজ্যের হয়ে সওয়াল করে থাকেন। কিন্তু অ্যাডভোকেট জেনারেল না থাকার ফলে শুনানি সম্ভব হচ্ছে না। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে এ বিষয়টি উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: সম্মান বাঁচাতেই পদত্যাগ করেছিলাম, সৌমেন্দ্রনাথের পাশে প্রাক্তন AG জয়ন্ত মিত্র
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে যে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে তার মধ্যে একটি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্য মামলাটি করেছে ক্ষেত মজুর সমিতি। তারা মূলত পাওনা আদায়ের দাবিতে মামলা করেছে। সেই মামলার শুনানি এদিন সম্ভব হয়নি। এর আগে এই মামলায় সওয়াল করেছেন প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। কিন্তু অ্যাডভোকেট জেনারেল না থাকার ফলে মামলার শুনানি আবার পিছিয়ে যায়। মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, ১০০ দিনের টাকা আটকে রয়েছে। এর ফলে দরিদ্র মানুষ ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি দ্রুত মামলার শুনানির আর্জি জানান। কিন্তু, অ্যাডভোকেট জেনারেল না থাকার ফলে শেষমেষ এদিনও মামলাটি পিছিয়ে যায়।
এ সংক্রান্ত মংলাতেই অ্যাডভোকেট জেনারেল না থাকার বিষয়টি নজরে এসেছে প্রধান বিচারপতির। তিনি মন্তব্য করেন, অ্যাডভোকেট জেনারেল না থাকার ফলেই সমস্যা হচ্ছে। এর পরেই তিনি এ বিষয়ে গভর্মেন্ট প্লিডারকে অবগত করেন। প্রধান বিচারপতি গভর্মেন্ট প্লিডার অথবা অন্য কোনও আইনজীবীকে যাতে নিয়োগ করা যায় সে বিষয়টি নিয়ে অবগত করেন। অন্যদিকে, এর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন কিশোর দত্ত। তাঁকে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মামলায় সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। ফলে তাঁকে পুনরায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল করা হবে কিনা তা নিয়েও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে হাইকোর্টে। যদিও সোমবার পর্যন্ত কিশোর দত্তকে অ্যাডভোকেট জেনারেল করার বিষয়ে কোনও খবর পাওয়া যায়নি।