[ad_1]
পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিলে রাজ্যপাল সই না করায় কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এই সংক্রান্ত মামলায় এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যপালের কাছে হলফনামা চেয়েছিল। তবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানিয়েছে, এখনই হলফনামার প্রয়োজন নেই। একইসঙ্গে মামলাটি আদৌও গ্রহণযোগ্য কিনা, সে বিষয়ে পুজোর ছুটির পর পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ কেন বিলে সই করা হয়নি, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে হলফনামা চেয়েছিল। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি জানিয়ে দেন এখনই ওই নির্দেশ কার্যকর হবে না।
আরও পড়ুন: রোহিতদের রাজভবনে আমন্ত্রণ করলেন বাংলার রাজ্যপাল, পাকিস্তানকে দুরমুশ করতেই ফোন
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন নিয়ে বিধানসভার বিলে রাজ্যপাল যাতে সই করেন তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন সায়ন মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জন।পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিল সংক্রান্ত মামলায় এর আগে দুই বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, এভাবে রাজ্যপাল অসহযোগিতা করতে পারেন না। কলকাতা হাইকোর্টও এভাবে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করতে পারেনা। কিন্তু সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে সেক্ষেত্রেও কি প্রশ্ন করতে পারবে না হাইকোর্ট? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। প্রধান বিচারপতি না থাকায় গত আগে মামলার শুনানি হয়েছিল ওই দুই বিচারপতির বেঞ্চে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৬৩ অনুযায়ী রাজভবনকে হলফনামা দিতে বলেছিল ডিভিশন বেঞ্চ।
শুনানির সময় রাজ্যের অভিযোগ ছিল, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সংশোধন বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে ২০২২ সালে। গত বছরের ১৫ জুন রাজ্যপালের কাছে ওই বিল পাঠানো হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপাল সেক্ষেত্র নিজেই বিলে সম্মতি দিতে পারেন বা রাষ্ট্রপতির কাছে বিল পাঠাতে পারেন অথবা বিবেচনার জন্য তিনি বিধানসভায় সংশোধনের জন্য পাঠাতে পারেন। কিন্তু, কোনও পথ অবলম্বন না করে বিলটি রাজভবনে ফেলে রেখেছিলেন রাজ্যপাল। এক্ষেত্রে বিচারপতি মুখার্জির পর্যবেক্ষণ ছিল, রাজ্যপাল একটি পথ অবলম্বন করতে পারতেন।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যের মেয়াদ গত কয়েক মাস আগে শেষ হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে একই ছাতার তলায় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আসা হবে। উপাচার্য নিয়োগের সমস্যার সমাধানের জন্য এই বিল আনা হয়েছিল। কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসেটর জেনারেল অভিযোগ তুলেছিলেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছে। তাছাড়া, যিনি এই মামলা করেছেন তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। তাছাড়া রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এভাবে হাইকোর্টে মামলার শুনানি হতে পারে না। এছাড়াও, বিধানসভার কার্যপদ্ধতি নিয়েও কলকাতা হাইকোর্ট এভাবে নির্দেশ দিতে পারে না।