[ad_1]
বাংলায় আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করতে বঙ্গ নেতাদের দিল্লিতে তলব করেছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেই বৈঠকে আসন তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে যদি ছয় থেকে আটটি আসন ছাড়ে তৃণমূল তবে জোট করতে আপত্তি নেই তাদের।
তবে সূত্রের খবর, হাই কমান্ডের কাছে জোট নিয়ে ভিন্ন মত উঠে এসেছে। প্রদেশ নেতাদের একাংশ চাইছেন, তৃণমূল জোট থাকুন সিপিএমের সঙ্গে। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর মতে, তিনি তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কথা ভাবতেই পারেন না। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের যে ভাবে সাংগঠনিক ক্ষতি করেছে তা আগে কেউ করেনি। তাই তিনি চান, সিপিএম-এর সঙ্গে জোট থাককু রাজ্যে।
হাইকান্ডের কাছে অধীরের দাবি, মালদা উত্তর ও দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, দার্জিলিং এবং রায়গঞ্জের মতো আসনে তাঁরা ভাল লড়াই দিতে পারবেন।
কার্যত একই মত পোষণ করেন, এআইসিসি নেত্রী দীপা দাশমুন্সি। তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ২০১২ সাল থেকে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে ভাঙছে। এই অবস্থায় যদি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করা হয় তবে দলের কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খাবে। সেক্ষেত্রে সিপিএমের সঙ্গে জোটে বজায় রেখেই কংগ্রেসের চলা উচিত। তাঁর মতে এই কৌশল নিলে আগামী দিনে কংগ্রেস রাজ্যে আরও শক্তিশালী হবে।
পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সেবাদলের চেয়ারম্যান রাহুল পাণ্ডে অবশ্য তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে লোকসভা ভোটে লড়াই করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।
তবে কংগ্রেস যদি ছয় থেকে আটটি আসন চায়, তৃণমূল সেই দাবি কতটা মেনে নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, তৃণমূল সভানেত্রী জানিয়েছেন, যেহেতু গত লোকসভা নির্বাচনে দুটি আসন জিতেছিল কংগ্রেস, তাই এবারও ওই দুটি আসনই ছড়াতে পারে দল। এর মধ্যে একটি আসনে জয়ী হয়েছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। (আরও পড়ুন। বাংলায় কংগ্রেস কি তৃণমূলের সঙ্গে জোট করবে? অধীরদের কথা শুনে রাহুল বললেন…)
তাই তৃণমূলের সঙ্গে কোন সূত্রে হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁশায়ই থেকে গিয়েছে। হাই কমান্ডের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। অধীর চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন,তাঁদের সঙ্গে আরও একবার বৈঠক করতে পারে হাইকমান্ড। ওই বৈঠকেই কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে হাইকমান্ডই শেষ কথা বলবে, জানিয়েছেন অধীর।