ক্যাব ও এনআরসি বিরধিতা ছড়িয়ে পরছে দেশের সর্বস্তরে। বিভিন্ন ছাত্র যুবা সংগঠনগুলি এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। সাধারন মানুষ সামিল হয়েছেন স্বতঃস্ফূর্ত বিরধিতায়। দেশের উত্তরপুর্বাঞ্চল ছাড়িয়ে প্রতিবাদ আছ্রে পরেছে উত্তরপ্রদেশেও। পশ্চিমবঙ্গ , দিল্লী, পঞ্জাব , ছত্তিসগর, কেরল ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা জানিয়েছেন কোনোভাবেই তাঁরা তাদের রাজ্যে নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ হতে দেবেন না।
আজ শনিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত শিথিল করা হল গুয়াহাটিতে জারি করা কারফিউ। এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন সাময়িক ভাবে কারফিউ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছিল কারফিউ। সেই সময়েই ফের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছিল বিক্ষোভকারীরা। গুয়াহাটির পাশাপাশি ডিব্রুগড়েও দুপুর ২টো পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। এদিকে কারফিউ শিথিল হতেই পেট্রোল পাম্প ও দোকানে ভিড় নজরে পড়েছে।
এদিকে অসমের পাশাপাশি অরুণাচল ও মেঘালয়েও চলছে কেন্দ্রের এই নতুন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। অরুণাচলে শুক্রবার ছাত্র সংগঠনগুলি এই আইনের প্রতিবাদে পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। মূলত সেই রাজ্যের সংগঠন রাজীব গান্ধী স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ও স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ এনইআরআইএসটি এই প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেয়। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রাজভবন পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার পথ হেঁটে মিছিল করেন ছাত্ররা।
এদিকে শুধু অসম বা উত্তর-পূর্ব না। বিক্ষোভের এই আঁচে জ্বলছে উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গাও। শুক্রবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখআয় জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। সেই মিছিল হিংসাত্বক আকার ধারণ করলে তা প্রতিহত করতে ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পাশাাপাশি ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। এর পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়েন বিক্ষোভকারী ছাত্ররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫০ জন ছাত্রকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে আজ এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ৬ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে নাগা স্টুডেন্টস ফেডারেশন। বেলা ১২টা পর্যন্ত এই বনধের ডাক দিয়েছে ছআত্র সংগঠনটি। পাশাপাশি এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি ভিত্তিতে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকও ডেকেছে সংগঠনটি।