[ad_1]
‘২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস জেতার পর, মিতালি রায় জেতার পর ওখানে বানারহাট ব্লক তৈরি হয়েছিল। ওখানে বানারহাট থেকে আসতে জেতে চামুরচিক বলে একটা জায়গা রয়েছে। …তাই তো। মিতলিদি কোথায়? (ঘুরে গিয়ে মিতালি রায়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন) জায়গাটা চামুরচিক না? ওখানে আশি কিলোমিটার ঘুরে আসতে হতো। বানারহাট ব্লক হওয়ার পর সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।’
২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার ধূপগুড়ির সভা থেকে তৃণমূলের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম নিয়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়ের। তার ২৪ ঘণ্টা মধ্যে দল বদল করে গেরুয়া শিবিরে তিনি।
রবিবার সকালে ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের দু’দিন আগে বিজেপি কার্যালয়ে গিয়ে দলবদল করেন মিতালি রায়। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি তৃণমূল। আমি বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রচারে বেরোতে চাইনি। আমি বলেছিলাম, আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। তার পরও ভোট বৈতরণী পেরোতে তৃণমূল আমাকে প্রকাশ্যে আসার জন্য মানসিক চাপ দিয়েছে।’
(পড়তে পারেন। দীপেনের পাল্টা মিতালি, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগে দলবদল বিজেপি–তৃণমূল নেতা–নেত্রীর)
এদিন বিজেপিতে যোগদান করে ‘জয় শ্রী রাম’, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনী তোলেন মিতালিদেবী। বলেন, আমরা সনাতনী। বিজেপিই পারবে রাজ্যের চেহারা বদলাতে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই দলবদলকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। এক নেতার কথায়,’তৃণমূল একটা পরিবার। দল ওনার সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলেও দলের সঙ্গে ওঁকে যোগাযোগ রাখতে কে বারণ করেছিল? ‘ (বিস্তারিত পড়ুন: অভিষেকের সভায় যাওয়ার জন্য মানসিক চাপ দিয়েছে TMC, BJPতে যোগ দিয়ে বললেন মিতালি রায়)
তবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, আগের দিনই যিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের মঞ্চে বসেছিলেন, রাত কাটতে না কাটতেই তিনি গেরুয়া যোগ দিলেন। এতে ভোটারদের মনে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। প্রসঙ্গত, শনিবার অভিষেকের জনসভায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা দীপেন প্রামানিক। তারই পাল্টা চাল গেরুয়া শিবিরের?