Home বিদেশ Djibouti, East Africa: ছোট্ট একটা দেশ জিবুতিতে সব দেশগুলো ঘাঁটি করে রেখেছে কেন? কী ব্যাপার!

Djibouti, East Africa: ছোট্ট একটা দেশ জিবুতিতে সব দেশগুলো ঘাঁটি করে রেখেছে কেন? কী ব্যাপার!

Djibouti, East Africa: ছোট্ট একটা দেশ জিবুতিতে সব দেশগুলো ঘাঁটি করে রেখেছে কেন? কী ব্যাপার!

[ad_1]

Djibouti, East Africa: জিবুতিতে কি এমন আছে? এতো ছোট্ট একটা দেশ, তারপরেও কেন পৃথিবীর প্রায় সবকটা শক্তিশালী রাষ্ট্র এখানে সামরিক ঘাঁটি গেড়ে বসেছে? ভূ কৌশলগতভাবে জিবুতির পজিশন গোটা বিশ্বের কাছে ঠিক কতটা ইম্পরট্যান্ট? আফ্রিকার এই দেশটার প্রতি সব্বার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুটা ঠিক কি? হর্ন অফ আফ্রিকা অঞ্চলের ছোট্ট রাষ্ট্র জিবুতিতে যতগুলো রাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে বিশ্বের অন্য কোন দেশে ততগুলো রাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি নেই।।কিন্তু কেন জিবুতি ঘিরেই এতো প্ল্যানিং?

জিবুতি লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত, এবং বাব এল মান্দেব প্রণালী সংলগ্ন। মাত্র ২৮ কিলোমিটার চওড়া এই প্রণালী দিয়ে ভারত মহাসাগরের প্রায় সমস্ত জাহাজ লোহিত সাগরে প্রবেশ করে। তারপর সাগরটার উত্তরে সুয়েজ খাল বেয়ে ভূমধ্যসাগরে চলে যায়। চীন সহ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যের জন্য এটা সবচেয়ে সহজ ও সস্তা পথ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রায় ৩০% এই প্রণালীর মধ্য দিয়ে চলে। জ্বালানি তেল গ্যাস ও পণ্যদ্রব্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই প্রণালীটিকে একটা Chokepoint হিসেবে ধরা হয়। কারণ এই প্রণালীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে বিশ্ব অর্থনীতির ভিত নড়ে যেতে পারে। তাই এই প্রণালীর নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং প্রতিপক্ষ যাতে এই প্রণালীর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতেই বেসিক্যালি বৃহৎ ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো জিবুতিতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে এতো আগ্রহ দেখায়।

পাশাপাশি, জিবুতি লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত, এবং এই কারণেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে রসদ সাপ্লাইয়ের জন্য জিবুতি একটা ট্রানজিট পয়েন্ট। এদিকে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। সেইসব সামরিক ঘাঁটিতে রসদ সরবরাহ বজায় রাখার জন্য খুব স্বাভাবিকভাবেই তারা জিবুতিকে বেঁছে নিয়েছে। একইভাবে, লোহিত সাগরে জলদস্যু মোকাবিলা এবং সোমালিয়া ও ইয়েমেনে মিলিট্যান্ট গ্রুপগুলোকে দমনের ক্ষেত্রেও জিবুতি পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। সর্বোপরি, জিবুতিতে অবস্থিত বিদেশি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে কতজন সৈন্য মোতায়েন করা যাবে, কোন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করা যাবে কিংবা সেগুলো থেকে কোন ধরনের অভিযান পরিচালনা করা যাবে এসব বিষয়ে জিবুতি সরকারের কোনো বাধানিষেধ নেই। এর ফলে জিবুতিতে যেসব রাষ্ট্রের ঘাঁটি রয়েছে, তারা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সেখান থেকে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।

আর ঠিক এইসব কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি, জার্মানি, স্পেন ও চীনের মতো দেশগুলো সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছে। রাশিয়া, সৌদি আরব আর ভারতেরও নজর আছে জিবুতিতে। ভবিষ্যতে আরও কিছু রাষ্ট্র এখানে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করলেও তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘাঁটি আছে এখানে। রাশিয়া সৌদি আরব আর ভারত নিজ নিজ সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের জন্য জিবুতি সরকারের সঙ্গে দেন দরবার চালাচ্ছে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here