[ad_1]
দুর্গাপুজোয় প্রত্যেকবারের মতো এবারও নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকছে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ। তবে পুলিশ যাতে ভালোভাবে ডিউটি পালন করতে পারে সেই কথা মাথায় রেখে এবার বেশকিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে লালবাজার। যার মধ্যে পুজোয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মোবাইল ব্যবহারের উপর রাশ টানতে চলেছে লালবাজার। এর পাশাপাশি পুলিশ কর্মীরা পিঠে ব্যাগ নিয়ে পুজোর ডিউটি করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় কোথায় কত ভিড়? মাপবে কলকাতা পুলিশ, আগাম জানবেন আপনি, জানুন কীভাবে?
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না পুজোয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। এর পাশাপাশি পিঠে ব্যাগ নিয়ে ডিউটি করা যাবে না। আজ সোমবার এই বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। প্রত্যেকবারের মতোই এবারও মণ্ডপে-মণ্ডপে মোতায়েন থাকবে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ। যার মধ্যে বড় পুজো মণ্ডপগুলিতে নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন ডিসি। এর পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুজোগুলিকে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনাররা নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন।
এছাড়াও ছোট পুজোগুলিতে প্রয়োজনে পুলিশ মোতায়েন করতে পারেন ডিসি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মণ্ডপগুলিতে ভিড় কম হওয়ায় ওই সময় কম সংখ্যক মোতায়েন থাকবে। দ্বিতীয় দফায় পুলিশ ডিউটি করবে দুপুর তিনটে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। রাত ১২টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তৃতীয় দফায় মোতায়েন করা হবে পুলিশ। মূলত বিকেলের পর থেকে মণ্ডপগুলিতে ভিড় শুরু হয়ে যাবে। সেই কারণে ওই সময়ের পর থেকে বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ হাজার পুলিশকর্মীকে এবারের পুজোর ডিউটিতে মোতায়ন করা হবে। এর পাশাপাশি থাকবে নহোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং স্বেচ্ছাসেবকরা। এছাড়া থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় পুজোর কয়েকটি দিন রোজ ১৬টি হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে। এছাড়া থাকবে ১৩টি কুইক রেসপন্স টিম। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দমকলকে সাহায্য করার জন্য থাকবে ১২টি পিসিআর ভ্যান। এছাড়া ৪৫টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। তাছাড়াও ২৭ টি মেট্রো স্টেশনে থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ। গত বছর ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার পুজোয় সবমিলিয়ে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হচ্ছে। অর্থাৎ এ বছর স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার বেশি।