[ad_1]
নবমীর সকালে দুর্গা মন্দিরে তালা দিয়ে চাবি নর্দমায় ফেলে দিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে জুটল অকথ্য গালিগালাজ। বাদ গেলেন না মহিলারাও। এমনকী পুজো করলে মারধর করা হবে হুমকিও দেয় দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছল যে মন্দিরের তালা খুলতে থানার দ্বারস্থ হলেন এলাকাবাসী। জমা পড়ল অভিযোগ।
ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের শক্তিনগর দুর্গামন্দিরের। অন্যান্য জায়গার মতো সেখানেও সাড়ম্বরে চলছে দুর্গাপুজো। স্থানীয়দের অভিযোগ, নবমীর সকালে মন্দির পরিষ্কার করতে তালা খুলে ভিতরে ঢোকেন পরিচারিকা। তখন উত্তম পাসোয়ান ও শামিম আখতার নামে স্থানীয় ২ দুষ্কৃতী মন্দিরে এসে হাজির হয়। পরিচারিকার কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে মন্দির থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করে। এর দুর্গামন্দিরে তালা দিয়ে চাবি নর্দমায় ফেলে দেয় তারা।
সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে পুজোর উদ্যোক্তাদের ঘটনার কথা জানান পরিচারিকা। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের অকথ্য গালিগালাজ করে ২ দুষ্কৃতী। এমনকী মহিলাদেরও কুকথা বলে তারা। পুজো করলে ফল ভালো হবে না বলে হুমকিও দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রায়গঞ্জ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু কোনও ভাবেই মন্দিরের তালা খুলতে না পেরে সকাল ৮টা নাগাদ থানায় পৌঁছন স্থানীয়রা। সেখানে ২ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
মমতা দেবী বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতী এলাকার দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে। আজ তারা দুর্গামন্দিরে তালা দিয়ে দিয়েছে। পুজোর মধ্যে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। তাই আমরা থানার দ্বারস্থ হয়েছি।’
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতী এই কাজ করেছে। বিধানসভা ভোটের আগে তারা বিজেপিতে যোগদান করেছিল। আবার তৃণমূলে ফিরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এলাকা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।’