থাইরয়েডের কোনও সমস্যা হলে তা আমাদের শরীরের নানা কাজকর্মের উপরে প্রভাব ফেলে। শরীর স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলে। এর ফলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ, প্রোটিনের পরিমাণ ইত্যাদির উপরে গভীর প্রভাব পড়ে। থাইরয়েডের ফলে হরমোন তৈরির প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, যে অবস্থাকে বলে ‘হাইপোথাইরয়েডইজম’। থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের মেটাবলিজমের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে এই গ্রন্থির কোনও সমস্যা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অনেক বেশি করে হয়। মনে করা হয়, স্ত্রী হরমোন থাইরয়েডের সমস্যাকে বেশি করে উসকে দেয়। যার ফলে মহিলাকার এতে বেশি করে আক্রান্ত হন।থাইরয়েডের সমস্যা হলে গলা ফুলে যায়। এছাড়া হৃদস্পন্দনের গতি পাল্টে যায়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, চুল বেশি করে পড়তে শুরু করে। এরকম নানা সমস্যা থাইরয়েড আক্রান্তদের মধ্যে দেখা যায়।তবে থাইরয়েডের সমস্যা চেষ্টা করলেই কমিয়ে আনা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ তো অবশ্যই নিতে হবে, তবে তার পাশাপাশি এই ঘরোয়া টোটকাগুলি মেনে চলতে পারেন। একনজরে দেখে নিন, থাইরয়েড নিরাময়ে কোন ঘরোয়া টোটকাগুলি বেশী কার্যকর।
নারকেল তেলঃ
থাইরয়েডের মাত্র বেড়ে গেলেই অস্টোজেনের উৎপাদনও বেড়ে যায়। নারকেল তেল সেই উৎপাদনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এছাড়া শরীরের মেটাবলিক মাত্রাকেও বাড়িয়ে তুলতে পারে নারকেল তেল।
পালং শাকঃ
থাইরয়েড কমাতে পালং শাক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
নুনঃ
নুনে থাকে আয়োডিন যা থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
ডিমের সাদা অংশঃ
ডিমের সাদা অংশ থাইরয়েড গ্রন্থিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই থাইরয়েড সমস্যা দূর করতে ডিমের সাদা অংশ অবশ্যই খেতে হবে।
আদাঃ
আদায় থাকা জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম থাইরয়েডকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং থাইরয়েডের প্রদাহকে কমিয়ে রাখে।
আখরোটঃ
আখরোটে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও আয়োডিন। এগুলি থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
যোগাসনঃ
বিভিন্ন রোগ সারাতে যোগব্যায়াম অব্যর্থভাবে ভালো কাজ করে। তেমনই কয়েক ধরনের যোগাসন থাইরয়েড কমাতে সাহায্য করে।
শরীরচর্চাঃ
যদি আপনি থাইরয়েডে আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই রোগ সারাতে নিয়মিত শরীরচর্চায় মন দিন। প্রতিদিনের ঘাম ঝরানো শরীরচর্চা এই রোগ থেকে দূরে রাখবে আপনাকে।