[ad_1]
শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে শুক্রবার আক্রান্ত হয় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন আধিকারিক এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরই মাঝে এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইডি। বাংলায় নিযুক্ত ইডি আধিকাকরা ঘটনা প্রসঙ্গে দু’টি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। এই জোড়া রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে। আর এসবের মাঝেই ইডি দাবি করল, যখন আধিকারিকরা শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁর বাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করছিলেন, সেই সময়কার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতার ফোন ছিল তাঁর ঘরেই। এই আবহে ইডি সন্দেহ প্রকাশ করে দাবি করছে, ইডির ওপর ৮০০ থেকে ১০০০ জনের হামলার নেপথ্যে শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের উস্কানি ছিল। (আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পর বনগাঁতেও ‘আক্রান্ত’ ইডি, ‘ঢাল’ মহিলা ব্রিগেড, হল ইটবৃষ্টি!)
এদিকে দাবি করা হচ্ছে, সন্দেশখালি ঘটনায় দু’টি রিপোর্ট তৈরি করেছে ইডি। সেই রিপোর্ট দু’টি আজই দিল্লি পাঠানো হতে পারে। দিল্লির শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কথা হয়েছে কলকাতায় নিযুক্ত ইডি আধিকারিকদের। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এই খবর জানিয়ে ইডির এক আধিকারিক জানান, এই দুই রিপোর্টে গোটা ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে। কী কী কারণে অভিযান চালানো হয়েছিল তা উল্লেখ করে রিপোর্টে হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এমনকী কারা হামলা চালিয়েছে, তাও নাকি উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। ঠিক কেন তল্লাশি অসামাপ্ত রেখেই ইডি আধিকারিকদের ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে, তাও বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে সেই রিপোর্টে।
এদিকে ইডি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা চুপ করে বসে থাকবে না। পদক্ষেপের প্রস্তুতিও শুরু করেছে সিজিও কমপ্লেক্স। এর আগে শুক্রবার কী ঘটেছিল? সকালে ইডির আধিকারিকরা যখন শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছন, তখন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। শেখ শাহজাহানের দেখা মেলেনি। ইডির অফিসাররা ও সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দরজা খুলতে বলেছিলেন। কিন্তু এসবের মধ্যেই মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে এক দল উন্মত্ত জনতা লাঠি নিয়ে এসে ইডি আধিকারিকদের ঘিরে ফেলেন। ইডির দাবি, প্রায় ৮০০-১০০০ জনের উন্মত্ত জনতা চড়াও হয়েছিল তদন্তকারী দলের উপর। আক্রান্ত হয়েছেন ইডির অফিসাররা। ইডির তিন জন অফিসার হাসপাতালে ভরতি। এদিকে হামলার দায় পালটা ইডির উপরেই চাপিয়েছে বাংলার শাসক শিবির। তৃণমূলের মুখপাত্র থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রীদের দাবি, অভিযানের ব্যাপারে ইডি আগাম কোনও তথ্য দেয়নি। তথ্য দিলে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা থাকত। আর তাতে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হত না।