বলিউডের জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্যর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে সরব হচ্ছেন রূপোলি জগতের সঙ্গে যুক্ত মহিলারা। ইন্ডাস্ট্রিরই জুনিয়র নৃত্যশিল্পী দিব্যা কোটিয়ানের পর গণেশ আচার্যর বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন আরও এক মহিলা। ‘জোর করে বিছানায় শুইয়ে সারা শরীরে অশ্লীলভাবে হাত বোলাচ্ছিলেন’, গণেশ আচার্যর বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন এক সিনিয়র ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার। সেই নৃত্যশিল্পী গণেশের বিরুদ্ধে #MeToo অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যে জাতীয় মহিলা কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছেন। পুলিশের কাছেও FIR দায়ের করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই কোরিওগ্রাফার দিব্যা কোটিয়ান গণেশের বিরুদ্ধে ‘জোর করে অশ্লীল ভিডিয়ো’ দেখানোর অভিযোগ তুলেছিলেন।
নতুন অভিযোগকারিণীর বয়ান অনুযায়ী, ‘প্রায় তিন যুগ আগের কথা। সালটা ১৯৯০। আমি পশ্চিম আন্ধেরির সাহিবা হলে নাচ শিখতে যেতাম। আমার বয়স তখন আঠারোর মতো। আমার গুরু কমল মাস্টারকে অ্যাসিস্ট করত গণেশ। এক দিন গণেশ আমায় ফোন করে ক্লাসে যেতে বলে। ওর বন্ধু দিলীপ আমায় খার সাবওয়ে থেকে গাড়িতে তুলে হোটেল ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্টে নিয়ে যায়। আমার তখনও পর্যন্ত কিছু খারাপ মনে হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ‘গিয়ে দেখি ওই ঘরে আর কোনও ছাত্রছাত্রী নেই। এমন সময় গণেশ ঘরে ঢোকে। নাচ শেখানোর নামে আমার ঘাড়ে, গালে চুমু খেতে শুরু করে। যখন বাধা দিতে যাই তখন আমায় সে বলে, আমাকে বিয়ে করতে চায়। বলেই বিছানায় ছুড়ে ফেলে আমার সারা শরীরে অশ্লীল ভাবে ছুঁতে থাকে। আমি চিৎকার করতে থাকি, ওকে জানাই আমার পিরিয়ড চলছে। ঠিক তখনই গণেশ রেগে গিয়ে ছেড়ে দেয় আমায়। বলে, কেয়া ইয়ার মুড খারাব কর দিয়া। আমি হোটেল থেকে পালিয়ে যাই আর কোনওদিন ক্লাসে ফিরে যাইনি।’
কিন্তু তিন দশক পর কেন এই অভিযোগ তুললেন তিনি?
সিনিয়র নৃত্যশিল্পীর বক্তব্য, দিব্যার অভিযোগের পর তাঁর মনে হয়েছে, আর মুখ বন্ধ করে থাকা চলবে না! তাঁকেও মুখ খুলতে হবে। গণেশের এসব কীর্তির কথা জানাতে হবে সকলকে। যা এতদিন তিনি শুধু স্বামীকেই জানিয়েছিলেন। গণেশ আচার্য যদিও দুটি অভিযোগকেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর পালটা দাবি, ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে।