[ad_1]
G20 Summit: চিন-সৌদি আরব নিজেদের ভুলে ভারতের হাতে মোক্ষম অস্ত্রটা তুলে দিল। পাকিস্তানের সেন্টিমেন্টে সায় দিয়ে হয়ে গেল কৌশলগত মিসটেক। আরব আমিরাত ফাঁদে পা দেয়নি। কিন্তু সূত্র বলছে পাকিস্তান ওআইসিকে কাছে কান্নাকাটি জুড়েছে।এবারের জি ২০ বৈঠক স্পষ্ট করবে অনেক অঙ্কই। এমনটাই আশা রাখছে কূটনৈতিক মহল। আবেগ, সেন্টিমেন্টের জায়গা নেই। কূটনীতির খেলায় যে জিতবে বিচার হবে সেখানে। জি২০ বৈঠকে অংশ নেবে না চিনের সঙ্গে তুরস্ক, সৌদি আরব কিন্তু অজান্তেই কত বড় ফাঁক রাখল বেজিং আলোচনা এখন সেটা নিয়েই।
কাশ্মীর ভারতের অংশ নয় এটা প্রমাণ করতে পাকিস্তান উঠে পড়ে লেগেছে। এই নয়া সুযোগে একেবারে আন্তর্জাতিক স্তরে গিয়ে চলছে চক্রান্ত। সূত্র বলছে ইসলামাবাদা ওআইসির (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কর্পোরেশন) কাছে অনুরোধ করেছে তারা যাতে কাশ্মীরের জি২০ বৈঠক উপেক্ষা করে বয়কট করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও লাইন ক্রস করল সংযুক্ত আরব আমিরাত। চিন ছাড়া অন্য তিন দেশ তুরস্ক, সৌদি আরব এবং মিসর এরা কিন্তু ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির সদস্য। সংস্থার সদস্যরা কেউ যেন কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে না যায় সেজন্য অনেক আগে থেকেই সচেষ্ট পাকিস্তান। কিন্তু চিন এদের সদস্য না হয়েও এমন সিদ্ধান্ত কেন নিল? পাকিস্তানের সুরে সুর মিলিয়ে নীতিগত মিসটেক করে ফেলল চিন।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন চিন বিবৃতিতে বলছে কাশ্মীরের মতো বিতর্কিত জায়গায় কোনও বৈঠক হলে তারা যোগ দেবেন না। এবার যদি পাল্টা কোনওদিন চিনও তিব্বতের মতো কোনও বিতর্কিত এলাকায় কোনও সামিট বা বৈঠক রাখে ভারতের হাতে পুরো সুযোগ থাকবে বিরোধিতা করার। অস্ত্রটা কিন্তু নিজের হাতে তুলে দিল ড্রাগনের দেশ৷ আরব সৌদির মতো কাজ করল না তারা ওআইসির সদস্য হয়েও যোগ দেবে জি২০তে কারণ আরবই প্রথম দেশ যে বিনিয়োগ করেছে কাশ্মীরের ওপর। সবথেকে বড় কথা জি ২০র ২০টা দেশের মধ্যে যদি ৩ থেকে ৪টে দেশও বয়কট করে তাহলেও আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তিই বুস্ট আপ হবে। এর মানে বাকী ১৬ বা ১৭ টা দেশ মনে করে কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷
কাশ্মীরে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রাখার নেপথ্যে কিন্তু শুধু পাকিস্তানকে খোঁচানোই ইস্যু নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কাশ্মীরের মতো জায়গায় এবার বিদেশের প্রতিনিধিরা আসবেন। তারা দেখবেন কাশ্মীরের ইনফ্রাস্টাকচার। মালদ্বীপ তো এখন থেকেই চেনাব ব্রিজ নিয়ে বেশ আশাবাদী। আন্তর্জাতিক স্তরে যখন এই খবর হবে যে আমেরিকার প্রতিনিধি রাশিয়ার প্রতিনিধিরা কাশ্মীরে বৈঠক করছেন, তখন অনেকেই বুঝবে কাশ্মীরের অবস্থা একেবারেই তেমন নয় যেমনটা পাকিস্তান দুনিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করে। অনেকেই বলছেন এভাবেই কিন্তু কাশ্মীর স্টেবিলিটি বা স্থায়ীত্বর দিকে এগিয়ে যাবে। আর সেটা যে ভারতের কাছে একটা বড়সড় কুটনৈতিক সফলতা সটা বলাই বাহুল্য
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়