Home আপডেট Gita Path Ceremony: মাহেশে সহস্র কণ্ঠে গীতাপাঠে মমতার প্রতিনিধি কল্যাণ, প্রদীপ, কটাক্ষ লকেটের

Gita Path Ceremony: মাহেশে সহস্র কণ্ঠে গীতাপাঠে মমতার প্রতিনিধি কল্যাণ, প্রদীপ, কটাক্ষ লকেটের

Gita Path Ceremony: মাহেশে সহস্র কণ্ঠে গীতাপাঠে মমতার প্রতিনিধি কল্যাণ, প্রদীপ, কটাক্ষ লকেটের

[ad_1]

২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে একটি হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে সহস্র কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর বসল শ্রীরামপুরের মাহেশ। 

রবিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় এই গীতাপাঠ। ২০০০ ব্রাহ্মণ মিলে গীতাপাঠ করতে থাকেন। গীতার ১৮ অধ্যায়ের প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চাদশ ও অষ্টাদশ  অধ্যায় পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানে। শতাব্দী প্রাচীন জগন্নাথ দেবের মন্দিরের সামনে এই গীতাপাঠ চলছে। 

মন্দিরের প্রধান সেবায়েত সৌমেন অধিকারী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাহেশকে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় আনার পরেই জগন্নাথ মন্দির ও রথের খ্যাতি আরও ছড়িয়েছে। তাই দেশ ও রাজ্যের কল্যাণে এই আয়োজন।’

এই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রমোন্নয়ন প্রদীপ মজুমদার, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। এঁদের মধ্যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার হাতে বই নিয়ে পুরোহিতদের সঙ্গে গীতা পড়েন। 

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পুরীর পর সব থেকে পুরনো এই মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দির। মন্দির কর্তৃপক্ষ সারা বছরই নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে থাকে। এটা নতুন কিছু নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। তাই তিনি আমাদের প্রতিনিধি হিসাবে পাঠিয়েছেন। ’

মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলনে, ‘বিশ্বশান্তির জন্য এই যজ্ঞ ও গীতাপাঠ হচ্ছে। গীতার পাঁচটি অধ্যায় এখানে পড়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এখানে এসেছি। মন্দির প্রাঙ্গণকে উন্নত করার জন্য উনি সব রকম সাহায্য করেছেন।’

বিজেপির এই অনুষ্ঠানের তাঁদের কাউকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। তাদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, আলাদা করে কোনও রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এঁরা যে ভাবে রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি করছে, গীতাপাঠ করলে এদের কোনও পাপক্ষয় হবে না।’ 

আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘মন্দির সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে আসার জন্য আমন্ত্রণ লাগে কি না আমার জানা নেই। ইচ্ছা থাকলে ঈশ্বরের কাছে যে কেউ আসতে পারেন।’

২৪ ডিসেম্বরে ব্রিগেডে গীতাপাঠ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মাহেশের অনুষ্ঠান নতুন নয়, ব্রিগেডে নতুন করে করেছে। হিন্দু ধর্ম বিজেপির কোনও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। বিজেপির কটা লোক হনুমান চল্লিশা পরে বলুন? আমি নিজে চামদানিতে হনুমানজির মন্দির তৈরি করিয়ে দিয়েছে। আমরা করি, আমাদের দেখাতে হয় না। ওদের দেখাতে হয়।’

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here