Home আপডেট Habra: ঘুমন্ত বউমাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ অশীতিপর শ্বশুরের বিরুদ্ধে

Habra: ঘুমন্ত বউমাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ অশীতিপর শ্বশুরের বিরুদ্ধে

Habra: ঘুমন্ত বউমাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ অশীতিপর শ্বশুরের বিরুদ্ধে

[ad_1]

বয়স যত বাড়ছিল ততই বাড়ছিল খাই খাই বাতিক। তা নিয়ে ছেলে বউমার সঙ্গে খিটিমিটি লেগে থাকত প্রাক্তন সেনাকর্মী ৭৫ বছরের বৃদ্ধের। কিন্তু তাই বলে যে তিনি বউমাকে কুপিয়ে খুন করতে পারেন তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ। কিন্তু কালীপুজোর সন্ধ্যায় এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার শ্মশান মোড় এলাকায়। মুক্তি বিশ্বাস (৪০) নামে ওই গৃহবধূকে ভর দুপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় কোপান শ্বশুর গোপাল বিশ্বাস। রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বধূর। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহতের স্বামী দেবু বিশ্বাস জানিয়েছেন, বাবা বড্ড জেদি। বয়স যত বাড়ছিল ততই বাড়ছিল খাবারের চাহিদা। বাবা মোটা টাকা পেনশন পান। আমরা তাঁর যত্নে কোনও খামতি রাখি না। রবিবার বাড়িতে ইলিশ মাছ রান্না হয়েছিল। কিন্তু তা খেতে চাননি বাবা। তিনি পকোড়া খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আমি পকোড়া এনে দিই।

তিনি বলেন, এর পর খেয়ে দেয়ে আমার স্ত্রী ঘুমাতে চলে যান। বাবা ঘরে টিভি দেখছিলেন। বড় ছেলে কম্পিউটারে কিছু একটা করছিল। ছোট ছেলে আর আমি বাড়িতে মোমবাতি লাগাচ্ছিলাম। এর মধ্যে মোমবাতি কম পড়ে। আমি ছোট ছেলেকে বাড়িতে রেখে পাড়ার দোকানে মোমবাতি আনতে যাই।

দেবু বিশ্বাস বলেন, ‘কয়েক মিনিটের মধ্যে ফিরে এসে দেখি ছোট ছেলে ফোঁপাচ্ছে। ঘরে ঢুকে দেখি রক্তে ভেসে যাচ্ছে বিছানা। দেওয়ালেও রক্ত। স্ত্রী অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বিছানায়। অদূরেই দা হাতে দাঁড়িয়ে বাবা। আমি সঙ্গে সঙ্গে বাবার হাত থেকে দা কেড়ে নিই। এর পর প্রতিবেশীদের ডাকি। সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীকে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন’।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অশীতিপর গোপালবাবুকে গ্রেফতার করে তারা। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গোপালবাবু বরাবর একগুঁয়ে। কারও মত মানতেন না তিনি। মাঝে ছেলের সঙ্গে ঝগড়া করে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। তবে তিনি যে মানুষ খুন করতে পারেন তা ভাবতে পারিনি। নিহতের স্বামী জানিয়েছেন, বাবা আমার ও আমার ছেলেদের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিয়েছে। আমি বাবার ফাঁসি চাই। এরকম বাবা যেন কারও না হয়।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here