Home লাইফস্টাইল গর্ভাবস্থায় ফিট থাকুন , গর্ভকাল পরবর্তী মেদ ঝরানোর সহজ উপায়

গর্ভাবস্থায় ফিট থাকুন , গর্ভকাল পরবর্তী মেদ ঝরানোর সহজ উপায়

0
গর্ভাবস্থায় ফিট থাকুন , গর্ভকাল পরবর্তী মেদ ঝরানোর সহজ উপায়

দুমাসের গর্ভবতী অবস্থায় 2017সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস । পরে সুস্থ অবস্থায় একটি ফুটফুটে মেয়ের জন্ম দেন । এখন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাল্টে যাচ্ছে জীবন যাত্রার ধরন । প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে মহিলারা বাসে ট্রেনে যাতাওয়াত করছেন । এসময়ে ফিট থাকাটা জরুরি । তাই খেলাধুলা না করে ও সহজ কয়েকটি ব্যায়াম ও শারীরিক কসরতের মাধ্যমে শরীর কে যথেষ্ট সুস্থ রাখা যায় ।

Image result for pregnency sania mirza

 

কিন্তু এ সময় ঠিক কি ধরনের ব্যায়াম করা উচিৎ ?কেউ বলেন জিমে যেতে , কেউ যোগ ব্যায়াম করতে বলেন , কেউ বা হালকা শারীরিক কসরত করতে বলেন ।

ফিটনেস ট্রেনাররা বলেন , ‘ সবচেয়ে ভালো হয় চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করা । কারুর শরীরে কোন জটিলতা থাকলে ভারী কসরত বা জিমে যাওয়া উচিৎ নয় ।’

যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞরা বলেন , ‘গর্ভবতী অবস্থায় মোটে ভারী ব্যায়াম অনুচিত । যাতে শরীর ও মন রিলাক্সড থাকে তার জন্য যোগব্যায়াম ও সাথে প্রানায়াম করা উচিৎ । ‘
তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী সপ্তাহে 4/5দিন অন্তত কুড়ি মিনিট যোগ ব্যায়াম করা উচিৎ ।

Image result for yoga during pregnancy
গর্ভবতী মায়েদের জন্য কিছু ব্যায়ামের টিপস রইলো ।

*সহজ সেতু আসন :6মাস পর্যন্ত এই আসন করা যায় । অনেকে 7মাস পর্যন্ত করেন । এই সময় কোমরে যে ব্যথা হয় সেই ব্যথা নিরাময়ে এই আসন খুব ফলপ্রদ ।

*ব্রহ্মচর্যাসন ও সুপ্ত ব্রহ্মচর্যাসন :এই দুটি আসন গর্ভাবস্থার শেষ দিন পর্যন্ত করা যায় । এটি তলপেট ও হিপের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে ।

*বদ্ধ গোমূখাসন :প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে পেটের চামড়া বৃদ্ধি পেয়ে নিচের দিকে নেমে আসে । পেটের চামড়া টাইট রাখার জন্য এই আসন খুব উপকারী ।

*প্রাণায়াম :নানা ধরনের প্রাণায়াম আছে । গর্ভবতী অবস্থায় মন কে সুস্থ ও সতেজ রাখতে প্রাণায়ামের বিকল্প নেই । যেমন বজ্রাসন খাবার হজম করতে সাহায্য করে । ব্রাহ্মী প্রাণায়ামে মন থেকে শরীরে একটা অনুরণন হয় ফলে হরমোন নিঃস্বরন যথাযথ হয় ।

* ডান্স মুভমেন্ট থেরাপি :কিছু সহজ নাচের মুভমেন্ট রয়েছে , যেগুলি এসময় খুব কার্যকরী ।

*মেডিটেশন :যেসব মায়েদের পেশার খাতিরে বিস্তর স্ট্রেস নিতে হয় তাঁদের জন্য মেডিটেশন অত্যন্ত জরুরি । গান , গল্পের বই এসময় মন কে খুব শান্ত রাখে ।

*অর্ভক আসন ও জয়াসন :দুটি আসনই শিশুর জন্য খুব প্রয়োজনীয় । তবে ডাক্তারের বা ট্রেনারের পরামর্শ ছাড়া জোড়করে কোন আসন করবেন না ।

Image result for gym during pregnancy

জিমে কসরত
এতক্ষণ হলো ব্যায়ামের কথা । এখন ফিটনেস ট্রেনাররা অন্তঃসত্তা অবস্থায় জিমে যাওয়ার পরামর্শ দেন । বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত জিম মায়ের সাথে শিশুর স্বাস্থ্য কে সুগঠিত করে ।

*পাঙ্ক ও সাইড পাঙ্ক : 5-6মাস পর্যন্ত এই ব্যায়াম অনায়াসে করা যেতে পারে ।

*কেগেল :এই ব্যায়ামের ফলে কেলভিক ফ্লোর মাসল কাজ শুরু করে । এরফলে জরায়ু , মূত্রথলি ও তলপেটের পেশী গুলি শক্ত হয় ।

*সাইক্লিং:ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত সাইক্লিং খুব জরুরি ।

তবে যেকোন ব্যায়াম শুরুর আগে ট্রেনার ও ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।