[ad_1]
তৈরি হবে বিশেষ রেল যোগাযোগ, আরো মজবুত হবে ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব। স্থল বন্দরের কোনো ঝঞ্ঝাট থাকবে না। এক দেশের পণ্য অতি সহজেই পৌঁছে যাবে অন্য দেশে। দুই দেশেরই লাভ হবে প্রচুর। কমবে খরচ, বাঁচবে সময়। হতে চলেছে বড়সড় ম্যাজিক। শুরু হয়ে গিয়েছে সমীক্ষা। এই নতুন রেল সংযোগ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? ভারত নাকি বাংলাদেশ , কার লাভ বেশি? বাংলাদেশের পাশে বারবার দাঁড়িয়েছে ভারত। এবারেও তার অন্যথা হবে না।
ভারত বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য বহনের জন্য পোক্ত রেল যোগাযোগ নেই। এবার সেই কাজ করতে সাহায্য করবে এডিবি অর্থাৎ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। যদি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দুই দেশের মধ্যে খুব দ্রুত নিয়মিত মালগাড়ি চলাচল করবে। শুধু কি তাই, যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযুক্ত হতে পারে নেপাল এবং ভুটানও। ইতিমধ্যেই এই সংস্থা হিসেব কষতে বসে গিয়েছে। এডিবির প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। যেখানে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য তিন ধরনের রেল চলাচল নিয়ে আলোচনা হয়। প্রথমত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। দ্বিতীয়ত, ভারত এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের রেল নেটওয়ার্ক এবং বন্দরের ব্যবহার। তৃতীয়ত, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিটের মাধ্যমে কার্গো পৌঁছে যাবে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে। যদিও বিষয়টা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সবটা নির্ভর করছে সমীক্ষার ফলাফলের উপর। খতিয়ে দেখা দেখা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে ভারত, নেপাল এবং ভুটানের ঠিক কি কি পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব। এই রেলপথ বাণিজ্যে ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম।
এবার প্রশ্ন, দুই দেশের মধ্যে কার্গো ট্রানজিট তৈরি করতে গেলে প্রচুর পরিমাণে টাকার প্রয়োজন। সেই টাকা কে দেবে? আপাতত অনুমান করা হচ্ছে, এডিবি অর্থায়ন করতে পারে। নিয়মিত কার্গো ভিত্তিক বাণিজ্য দুই দেশের ভবিষ্যতের জন্য খুব ভালো পদক্ষেপ। একটু খেয়াল করে দেখুন, বাংলাদেশ ভারত থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করে তার সামান্য অংশ শুধুমাত্র রেলপথে যায়। বেশিরভাগটাই যায় স্থল বন্দরের মাধ্যমে। অপরদিকে বাংলাদেশও রেলপথে রপ্তানি করে না। অথচ রেলপথ অর্থনৈতিক গ্রোথের জন্য ভীষণ ইম্পর্টেন্ট। আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে রেলপথ ব্যবহার করা হলে দুই দেশই মোটা মুনাফা লাভ করবে। ধরুন,যে হিউজ পরিমাণ পণ্য একবার বহন করতে ২২ বগির একটা ট্রেন হলেই হয়ে যায়, সেখানে সড়ক পথে পরিবহন করতে দরকার পরে প্রায় ৬০টি ট্রাক। খরচের তফাৎ টা ভাবুন। আপাতত পরিকল্পনা সফল হওয়ার অপেক্ষায়।
ভারতও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অবশ্যই সহযোগিতা করবে। কারণ রেল যোগাযোগের দিক থেকে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব ভালো। ২০১৯ সালে ভারত সরকার বাংলাদেশকে ট্রেন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে চলতি বছরেই প্রায় কুড়িটা ব্রডগেজ লোকোমোটিভ দেয় বাংলাদেশকে। যেগুলো দুই দেশের মধ্যে থাকা যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। এর আগেও ভারত বাংলাদেশকে প্রায় দশটা রেল ইঞ্জিন উপহার দিয়েছে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চলছে তিন জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন। কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস, কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা মিতালী এক্সপ্রেস। এবার পণ্য পরিবহনের জন্য আরো দৃঢ় হতে চলেছে রেল সংযোগ। সামনে এখন প্রচুর সম্ভাবনা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়