আইলা দে লাস মুনাকাস – পুতুল দ্বীপ
মেক্সিকো সিটির দক্ষিণে, Xochimico এর খালের মাঝে আপনি খুঁজে পাবেন একটি ছোট দ্বীপ । দ্বীপটি আইলা দে লাস মুনাকাস অর্থাৎ পুতুল দ্বীপ নামে পরিচিত।
আশেপাশের এলাকায় হাজার হাজার মানুষের ভিড়েও পরিত্যক্ত এই ছোট দ্বীপটি শত শত ভয়াবহ পুতুলের বাসস্থান। তাদের খুবলে যাওয়া চোখ-নাক-মাথা বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে দ্বীপের প্রতিটি গাছে তাদের ভয়ানক উপস্থিতি। এখন ভ্রমণপিপাসু দের জন্য বিকেল অব্ধি খুলে দেওয়া হলেও রাতের বেলায় এই দ্বীপ থাকে জনমানবহীন। হাজার হাজার পুতুল অবাধে বসবাস করে এই দ্বীপে। স্থানীয়দের কথায় অতৃপ্ত আত্মার কবলে পড়ে সারা দ্বীপ জুড়ে চলে তাদের অশরীরী গতিবিধি।
কিংবদন্তী~
ডন জুলিয়ান সান্তা বারেরা ছিলেন এই দ্বীপের রক্ষণাবেক্ষণ করার দ্বায়িত্তে, মানুষটি একাই বসবাস করতেন ছোট্ট এই দ্বীপে। একদিন দ্বীপের এক কোণায় জলে ভেসে আসা একটি বাচ্চা মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পান তিনি। তাকে তুলে এনে দ্বীপেই কবর দেন জুলিয়ান। তার কয়েকদিন বাদে ঠিক ওই জায়গায় একটি পুতুল কুড়িয়ে পান , তার ধারণা হয় – পুতুলটি ওই মৃত বাচ্চাটির, তাই তিনি সেটি আইল্যান্ডের একটি গাছে টাঙিয়ে রাখেন…
তার পর থেকেই সেই বাচ্চা মেয়েটির আত্মা জুলিয়ান বাবেরাকে নানা ভাবে বিরক্ত ও ভয় দেখানো শুরু করে। আত্মার অত্যাচারে অতিষ্ঠ জুলিয়ান পাগলের মতো শুধু পুতুল জোগাড় করতেন আর দ্বীপের সব গাছে সেগুলিকে ঝুলিয়ে দিয়ে বাচ্চা মেয়েটি কে সন্তুষ্ট রাখতে চাইতেন। দেখতে দেখতে হাজার হাজার পুতুলে ভরে ওঠে পুতুল দ্বীপ।
এখন সেখানে গেলে দেখতে পাওয়া যায়ে হতভাগ্য জুলিয়ানের কুঁড়ে ঘরটি
কদর্য, অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হীন পুতুল যারা রাতের বেলায় জেগে উঠে দাপিয়ে বেড়ায় সমস্ত দ্বীপ জুড়ে, তাদের তাড়নায় কিছুদিন বাদে অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে জুলিয়ান এর… তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় ঠিক ওই জায়গায় যেখানে সে বাচ্চা মেয়েটির লাশ খুঁজে পেয়ে ছিল।
এখন অনেক মানুষ সেই দ্বীপে যান, আত্মাদের জন্য পুতুল হাতে করে। টাঙিয়ে দিয়ে আসেন গাছের গায়ে সেই বাচ্চা মেয়েটি আর জুলিয়ান এর আত্মার স্মরণে… তাও সন্ধ্যে গড়ালেই শুরু হয়ে যায়ে ভয়ানক যত পুতুলের ছোটাছুটি… যাবেন নাকি ? একবার সাহস করে !!!
তার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নিন ভিডিওতে ~