[ad_1]
শনিবার বিকেলে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে ভোট, চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। তারপর ভোটগণনা হবে ৪ জুন। বাংলায় ৭ দফায় হবে লোকসভা নির্বাচন। এদিকে, ভোটের মধ্যেই রয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। পূর্ব ঘোষিত সুচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওই সময় চলবে লোকসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা কীভাবে হবে তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে রাজ্যে ৩০,০০০ অজামিনযোগ্য ওয়ারেন্ট কার্যকর হয়নি, দাবি কমিশনের
লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যে আসতে চলেছে ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে চলে এসেছে। সাধারণত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জায়গা হিসেবে স্কুল কলেজগুলিকে বেছে নেওয়া হয়। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে স্কুল, কলেজগুলিতে শিবির করে থাকবেন। এরফলে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রের অভাব দেখা দিতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষক মহল।
জানা যাচ্ছে, গতবারের তুলনায় এবার জয়েন্ট এন্ট্রান্সে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৯২ জনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ হাজার বেশি। তারপরে স্বাভাবিকভাবেই বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রয়োজন হবে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকার ফলে কি সেই কেন্দ্র পাওয়া যাবে? তা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই অবস্থায় জয়েন্ট এন্ট্রান্সের সূচি পরিবর্তন করা হবে তাই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জয়েন্ট বোর্ডের কর্তারা জানাচ্ছেন, আগামীকাল সোমবার সরকারি দফতর খুললে বিকাশ ভবন ও নবান্নের প্রশাসনিক শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে তারপরে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শান্তিপূর্ণ ভোটের স্বার্থে প্রতিবারই ভোটে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের আনা হয়। এই সময় কেন্দ্রীয় জওয়ানরা স্কুল কলেজে থাকার ফলে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন, পরীক্ষা ঘিরেও প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু কলেজ কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে।
এছাড়াও, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশে স্কুলগুলিতে পঞ্চম থেকে দশমের প্রথম সামেটিভ পরীক্ষা হওয়ার কথা ১ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে। ফলে সেই পরীক্ষা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কমিশনের আধিকারিকদের ডেপুটেশন দিয়েছে শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন।